শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ , ১১:০২ পিএম


শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে মাগুরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী জানান, শিশু আছিয়া ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট রোববার রাতে আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, অভিযোগপত্রে শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায় ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন (দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারা) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপরাধের আলামত নষ্টের (দণ্ডবিধির ২০১ ধারা) অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে ধর্ষণের ঘটনাটি সকালে ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। এ ঘটনার পর মাগুরা ছাড়াও সারাদেশে শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন। পুলিশ প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুটির বোনের বাড়িতে বসবাসরত চারজনকে আটক করে। শিশুটির মায়ের দায়েরকৃত মামলাতেও ওই চারজনকে আসামি করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় শিশুটি।

বিজ্ঞাপন
Advertisement

এ ঘটনার পর পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলাটির মূল আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ১৫ মার্চ (শনিবার) বিকেলে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকার করেন।

আরটিভি/এমএ/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission