খুলনা মেডিকেলের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এর আগে সকাল থেকে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে দাবির মুখে পুলিশ বুধবার রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন, মাহামুদুর রহমান বিপ্লব ও মীর বায়োজিদ।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো, হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালের মাল্টিপারপাস ভবনে কমপক্ষে দুটি মডেল ফার্মেসি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের হামলায় জড়িত দুজন গ্রেপ্তার হওয়া, সিটি মেয়র, সংসদ সদস্য, বিএমএ খুলনার আশ্বাসে জনভোগান্তি বিবেচনা করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহার করা হলো। নেতারা একইভাবে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন জানান। অবিলম্বের ওইসব দাবি পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আন্দোলন প্রত্যাহারের আগে হাসপাতাল-কলেজ কর্তৃপক্ষ, বিএমএ নেতাদের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেলের সামনে বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে ওষুধ কিনতে যান মেডিকেলের শিক্ষার্থী হাসান ফেরদৌস। এ সময় দোকানি এক পাতা ওষুধের দাম ৭০ টাকা জানালে হাসান ফেরদৌস ১০ শতাংশ কমিশন বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে গিয়ে জানালে অন্য শিক্ষার্থীরা ওই দোকানে যায়। তখন বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওষুধের দোকাদিদের সঙ্গে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।