বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আলোচনাসভা, পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেখ রাসেল দিবস পালন করেছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, বিখ্যাত নোবেলবিজয়ী দার্শনিক বার্টোল্ট রাসেলের নামে বঙ্গবন্ধু তার নাম রাখেন রাসেল। রাসেল বেঁচে থাকলে হয় কর্মের দ্বারা বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন শিশুদের প্রতি সচেতন ছিলেন, শেখ রাসেলও তেমন সচেতন ছিলেন। রাসেল যখন টুঙ্গিপাড়া যেতেন তখন অন্যান্য শিশুদের জন্য চকলেট, পোশাক নিয়ে যেতেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণ ছেলেদের মতোই প্রটোকল ছাড়াই রাসেল বাইসাইকেলে স্কুলে যেতেন। বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতেন। ৭৫ এর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এদেশের নারী-শিশুদের প্রতি সহিংসতা শুরু হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, রাসেল শিশুদের মাঝেই বেঁচে থাকবে চিরকাল, ছোট্ট রাসেল হয়ে, বন্ধু রাসেল হয়ে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের যে লাল-সবুজের পতাকার ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে শেখ রাসেল। আজকে রাসেল নেই, আজ শেখ রাসেল আমাদের কাছে লোকগাঁথা এক কবিতার ভুবন।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি 'শেখ রাসেল লাল-সবুজের রাজপুত্তুর' শিরোনামে বক্তৃতা ও আমাদের শেখ রাসেল শিরোনামে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শিশুশিল্পীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়।