গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে হিম শীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। শিশু ও বৃদ্ধরা এই শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এমন পরিস্থিতিতেও দেখা যায়নি সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি।
উপজেলায় শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে নেমে আসা হিমেল হাওয়া কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সময় মত কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ।
সন্ধ্যার পর থেকে চারদিক ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে। সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। ফলে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র লোকজন সীমাহীন কষ্ট ও দুর্দশায় দিনযাপন করছেন। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা। বিত্তবানরা গরম কাপড় ক্রয় করতে পারলেও নিম্ন আয়ের লোকজনের তা হাতের নাগালের বাইরে। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শীতে বোরো বীজতলা, সবজি খেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
উপজেলার চাঁপাইর ইউনিয়নের দিনমজুর আব্দুল আলীম বলেন, গত দুদিন থেকে প্রচন্ড শীত আর কনকনে ঠান্ডা। এর আগে এ রকম শীত দেখা যায়নি।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী জানান, গত দুসপ্তাহ আগে গরিব অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আবার যদি সরকারি বরাদ্দ আসে। তাহলে গরিবদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।