স্বস্তির ঈদযাত্রা, ফাঁকা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন মানুষ। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নেই সেই চিরচেনা যানজট। নেই তেমন কোনো গণপরিবহন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়।
যদিও প্রথম ২ থেকে ৩ দিন পরিবহনের কিছুটা চাপ দেখা গেলেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তির ঈদযাত্রা করছেন ঘরমুখো মানুষ।
সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, রাবনা বাইপাস থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকার কোথাও তেমন কোনো গণপরিবহন উত্তরবঙ্গের দিকে যেতে দেখা যায়নি। কিছু কিছু গণপরিবহন গতি নিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়াও মহাসড়কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। তবে কিছু মানুষ বাস না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপে গন্তব্যে যাত্রা করছেন।
এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে।
তারা বলেন, আগে ঈদ আসলেই চিরচেনা যানজটের সৃষ্টি হতো এই মহাসড়কে। প্রতিবছরই ঈদের আগের রাতেও মানুষের স্রোত দেখতে পাওয়া যেত। ঈদের পরিবহনের চাপ থাকা এই মহাসড়কে ছিল স্বাভাবিক বিষয়। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও মহাসড়কের পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খেত। আর সেই মহাসড়ক এখন ফাঁকা থাকছে যা ভাবতেই অবাক লাগছে।
এ দিকে জেলা পুলিশের দাবি, তাদের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন ঘরমুখো যাত্রীরা।
এ বিষয়ে মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, আজ হয়তো যানজট নেই কিন্তু গতকাল ভালোই চাপ ছিল এ মহাসড়কে। ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা থাকা এমন ঘটনা আগে হয়েছে এমন খুব কম হয়েছে। বুধবারে ঈদ হবে এই টার্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছুটি হয়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থেকেই বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছিল।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার গার্মেন্টসের লোকজনসহ অন্যান্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বেড়েছিল। তবে আজকে তেমন মানুষ বাড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা আগেই চলে গেছেন। ফলে মহাসড়কে তেমন পরিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ বলেন, মহাসড়কে তেমন পরিবহন নেই। পরিবহনগুলো স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন।
মন্তব্য করুন