এবার গ্রাহকের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংকের জিডি

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪ , ১১:৫৩ এএম


ইসলামী ব্যাংক
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চট্টগ্রাম চকবাজার শাখায় লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনা গায়েবের ঘটনায় মামলা করার ছয়দিন পর ওই গ্রাহকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ব্যাংকটি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে চকবাজার থানায় এ জিডিটি করেন চকবাজার শাখার লকার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি জিডিতে গ্রাহক রোকেয়া বারীর বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেছেন রোকেয়া বারী।

জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার রাতে চকবাজার থানার কর্মকর্তা ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, ব্যাংকের এক কর্মকর্তা আমাদের থানায় গ্রাহক রোকেয়া বারীর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সোনা গায়েবের ঘটনায় চকবাজার থানায় ব্যাংকের চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন গ্রাহক রোকেয়া বারী। অভিযুক্তরা হচ্ছেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মওলা, কোম্পানি সচিব জেকিউএম হাবিবুল্লাহ, শাখা ব্যবস্থাপক এস এম শফিকুল মওলা ও লকার ইনচার্জ মো. ইউনুস।

অভিযোগে রোকেয়া আক্তার বারী উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার মেয়ে নাসিয়া মারজুক যৌথ মালিকানায় ২০০৬ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় একটি লকার ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করে আসছিলেন। লকারে নাসিয়া ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রায় ১৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার গচ্ছিত ছিল।

তিনি গত ২৯ মে দুপুরে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন, তার জন্য বরাদ্দ করা লকারটি খোলা অবস্থায় আছে। সেখানে রাখা স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে প্রায় ১৫০ ভরি ‘চুরি’ হয়েছে। স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে আছে ৬০ ভরি ওজনের ৪০ পিস হাতের চুড়ি, ২৫ ভরি ওজনের চার সেট জড়োয়া, ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট, ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন, ১৫ ভরি ওজনের ২৫টি আংটি এবং ১১ ভরি ওজনের ৩০ জোড়া কানের দুল।

বিজ্ঞাপন

চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ব্যাংকের গ্রাহক অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছেন। যেহেতু এটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শিডিউলভুক্ত। আমরা অভিযোগ গ্রহণ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেটি দুদকে পাঠাব।

চকবাজার শাখা প্রধান ও ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম শফিকুল মওলা চৌধুরী জানান, গ্রাহকের অভিযোগ তদন্তে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে। লকার থেকে স্বর্ণালংকার গায়েব হওয়ার সুযোগ নেই।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission