ভোমরা স্থলবন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বন্দরের সেবা কার্যক্রম পেপারলেস করার লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পর তৃতীয় বন্দর হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। ভোমরা বন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে যাবে। ‘হিরো’ পোর্ট হয়ে যাবে। বন্দরটি যেন কোন সংকটে না পড়ে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী সাতক্ষীরা জেলায় ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডাইরেক্টর মুজিবুল হাসান, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) ডাইরেক্টর ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্ট এর ডাইরেক্টর (গ্লোবাল প্রোগ্রামস) বেনজামিন ল্যাং, আমদানি রপ্তানি কারো কাছে সেশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী এবং এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক এইচ আর মাকসুদ খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ)-এর অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে সম্পাদিত ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সব স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোমরা বন্দরে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সুবিধা-অসুবিধা আছে। নতুন কোনো কিছুতে ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই। ব্যবসাবান্ধব ও ব্যবসাকে আরো স্মুথ করার জন্য ভোমরা বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করা হলো। স্থলবন্দরগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সন্ত্রাসীগোষ্ঠী যদি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ না নিতো, তাহলে চ্যালেঞ্জগুলো থাকত না। আমরা স্থলবন্দরগুলোর আপডেট করছি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করেছে, তারা ভুল বলছেন। মিথ্যা বলছেন। যদি তিনি দেশ বিক্রি করে দিতেন তাহলে স্থলবন্দর করতেন না। তার সময় সর্বক্ষেত্রে সড়ক, রেল, আকাশ, নৌপথে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মংলা পোর্টকে লাভজনক করা হয়েছে। নতুন বন্দর পায়রা বন্দর করা হয়েছে। মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর করা হচ্ছে। এসব উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থায় ‘সি’ ক্যাটাগরিতে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। যারা বলছেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিশ্বে বন্ধু নেই, তাদের দেখা দরকার, আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের কি অবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে ফেলেছেন। বাংলাদেশকে কেউ পিছে নিতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে স্থলবন্দর বা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে পিছিয়ে থাকা যাবে না। যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি, ডেট কান্ট্রি বানাতে চেয়েছিল, তারা দেখছে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল থেকে উন্নয়নের পথে হাঁটছে। একই সাথে এগিয়ে যেতে চাই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সংগ্রাম। জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নে তিনি কাজ করছেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে কেন দুর্নীতি হবে? জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা দুর্নীতি করেছে। সে বোঝা আমাদের টানতে হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আছে। আমাদের এগিয়ে যাওয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দুর্নীতির ফাঁদ পেতেছে। এ ফাঁদ থেকে সাবধান থাকতে হবে। দেশকে টেনে ধরার জন্য অনেকে ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত দিয়েই উন্নয়ন সম্ভব। তিনি সাহসের সাথে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করছেন।
মন্তব্য করুন