চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো দুজনের পরিচয় মিলেছে
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল চট্টগ্রাম। ওই দিন বিকেলে নগরীর মুরাদপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। সে সময় শিক্ষার্থীদের মিছিল লক্ষ্য করে চার ব্যক্তিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এতে তিনজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হন।
বুধবার (১৭ জুলাই) তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, তাদের মধ্যে একজন যুবলীগ নেতা মো. ফিরোজ। তিনি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নগরে বিলবোর্ড টাঙিয়ে আলোচনায় আসেন। ওই সময় যুবলীগের মিছিল–সমাবেশে তাকে সামনের সারিতে দেখা যেত। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং ২০১৩ সালের জুলাই মাসে অস্ত্রসহ দুবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি চট্টগ্রামের আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
আরেক জন এন এইচ মিঠু। যিনি নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার তাদের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মিছিল থেকে গুলি করছেন ফিরোজ। একপর্যায়ে গুলি থামিয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘গুলি দে, গুলি দে’। কিছুক্ষণ পর একজন গুলি এনে দেন তাকে। গুলি লোড আবারও শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন তিনি।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কে বা কাদের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন, সে বিষয়টিও পুলিশ তদন্ত করছে।’
মন্তব্য করুন