বগুড়ার সেই তুফান সরকারের ১৩ বছর কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে বগুড়ার আলোচিত তুফান সরকারের ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল্লা এ রায় দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তুফান সরকার বগুড়া শহরের চক সূত্রাপুর এলাকার মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের সদস্য ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৭ সালে তুফান সরকার এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন। সেই ঘটনা জানাজানি হলে ওই তরুণী ও তার মাকে ধরে তাদের চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে মা ও মেয়েকে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। সে সময় ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনায় আসে। পরে পুলিশ তুফান সরকারকে আটক করে। সেই সময় তুফান সরকারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে। এরপর ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন দুদক বগুড়া কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। এরপর ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় দুটি ধারায় তুফান সরকারের ১৩ বছরের সাজা হয়েছে। এ ছাড়াও তার অবৈধ সম্পদ এক কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তুফান সরকার বর্তমানে পলাতক। গ্রেপ্তারের পর থেকে এ দণ্ডাদেশ কার্যকর হবে।
আরটিভি/এএএ/এস
মন্তব্য করুন