বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, দেশের বিভিন্ন সংকটকালে জিয়া পরিবার মানুষের পাশে ছিলো। ৭১ মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। দেশের মানুষ যখন দিশেহারা তখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। এ দেশ যখন স্বৈরাচার এরাশাদ যখন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচার মুক্ত করেছিলেন।
এরপর ফ্যাস্টিট খুনি শেখ হাসিনা বিনা ভোটে দেশ শাসন করছিলো দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হলো। বাংলার মাঠে-ঘাটে, আনাচে-কানাচে, আকাশে, বাতাশে, গ্রাম, গঞ্জে। আমাদের অনেক ভাই শহীদ হলো। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম গুম হলো। এখানেও আন্দোলন শুরু হলো। এখানেও শহীদ হয়েছে। মামলায় ঘরে থাকতে পারেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলো। আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন হলো। আমরা পেলাম এক নতুন বাংলাদেশ। আগামী নির্বাচনে আমাদের নেতা যাকে মনোনয়ন দেবে তাকে জয়ী করবেন বলে ওয়াদা করান তিনি।
যশোর জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বেলুন উড়িয়ে জেলা বিএনপির সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আমান উল্লাহ আমান।
সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুসহ দলের জাতীয় স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা।
সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি, টিএস আইয়ুব, এ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর পৌর সভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ প্রমুখ।
যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন সম্মেলন পরিচালনা করেন।
এদিকে, বাস ট্রাক, মাইক্রোবাসেসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে বিএনপির সম্মেলনে হাজির হয় নেতা-কর্মীরা। মেয়েরা শাড়ি পড়ে ও ছেলেরা মাথায় ক্যাপ পড়ে সম্মেলনস্থলে আসেন।
আরটিভি/কেএইচ