বিচারের দাবিতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

স্ত্রীর বিরুদ্ধে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার স্বামীকে হত্যার অভিযোগ 

বাগেরহাট প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ , ০৯:৩০ পিএম


স্ত্রীর বিরুদ্ধে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার স্বামীকে হত্যার অভিযোগ 
ছবি: আরটিভি

স্ত্রী শাহানা খাতুনের মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার স্বামী সোহাগ হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মা কল্পনা নাজমা বেগম। তিনি এই হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। 

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন সন্তানহারা মা কল্পনা নাজমা বেগম।

হত্যার শিকার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ হোসেন খুলনার খানজাহান আলী রোড এলাকার আবুল হোসেন ও নাজমা বেগম দম্পতির ছেলে। হত্যায় অভিযুক্ত শাহানা খাতুন বাগেরহাট শহরের সোনাতলা এলাকার মৃত শিহাব উদ্দিনের মেয়ে । 

বিজ্ঞাপন

এর আগেও শাহানার একাধিক বিয়ে ছিল বলে দাবি নাজমা বেগম বলেন, সোহাগ হোসেন (৩০) মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে ব্যবসায় যুক্ত হন। কয়েক বছর আগে সোহাগ বাগেরহাটের সোনাতলা এলাকার শাহানা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিয়ের পরে শাহানা ও সোহাগ ঢাকার তুরাগ থানার রাজউক উত্তরার ১৮নং সেক্টরের ইছামতি ভবনে থাকতো।

সবশেষ ১ ডিসেম্বর ইছামতি ভবনে সোহাগের সাথে আমার দেখা হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় সোহাগকে তার সাথে যোগাযোগ করতে দিত না শাহানা। পরে ২ ফেব্রুয়ারি শাহানা ও তার সহযোগীরা ২০ লাখ টাকা দাবি করে এবং না দিলে সোহাগকে হত্যা করার হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আমার ছেলের মুঠোফোন বন্ধ পাই। ইছামতি ভবনে যে ফ্লাটে সোহাগ ও শাহানা থাকত সেই ফ্লাটটি ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে পুলিশ দরজা ভেঙে ফ্লাটে প্রবেশ করে। সিলিং ফ্যানের সাথে সোহাগের হাঁটুভাঙা অবস্থায় ঝুলানো এবং অর্ধগলিত মরদেহ পায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ল্যাপটপ, ২টা মুঠোফোন, মানিব্যাগসহ বেশকিছু আলামত উদ্ধার করে। সোহাগের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ১৩ ফেব্রুয়ারি খুলনার টুটপাড়া কবর স্থানে সোহাগের দাফন সম্পন্ন হয়।’

বিজ্ঞাপন

পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি তুরাগ থানায় সোহাগের স্ত্রী শাহানা খাতুনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করি। এখনও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সন্তানের হত্যার সঠিক কারণ ও হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই মা। অতিদ্রুত শাহানা আক্তার ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান নাজমা বেগম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সজিব হোসেন বলেন, মূলত আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে। সিডিআর সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরটিভি/কেএইচ-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission