সুনামগঞ্জে বিষ প্রয়োগে ৪০০ হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ , ১১:২৯ পিএম


সুনামগঞ্জে বিষ প্রয়োগে ৪০০ হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ
ছবি: আরটিভি

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের হালীর হাওরের ঘনিয়া বিলের পানিতে বিষ প্রয়োগ করে চার শতাধিক হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ছটফট করছে আরও শতাধিক হাঁস। 

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে জামালগঞ্জ উপজেলার হালীর হাওরপাড়ের বেহেলী ইউনিয়নের বদরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ক্ষতিগ্রস্ত হাঁস খামারি নাম আমিন হোসেন, তিনি বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার অভিযোগ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পার্শ্ববর্তী রাঁজাপুর-গুচ্ছগ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে রেজাউল মিয়া বিলের পানিতে বিষ প্রয়োগ করে তার হাঁসগুলো মেরেছে। অভিযোগ পেয়ে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জামালগঞ্জ থানার পুলিশ। 

বিজ্ঞাপন

হাঁস খামারি আমিন হোসেন জানান, প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে ১ হাজার হাঁস দিয়ে তিনি খামার গড়ে তুলেছেন। হাঁসগুলো বাড়ির পাশের হালীর হাওরে চড়ান। প্রতিদিনের ন্যায় আজ বুধবার সকালে হাঁসগুলোকে খাবার খাওয়ানোর উদ্দেশ্য হালির হাওরের (হাঁস চড়ানোর জন্য ভাড়া করা) ঘনিয়ার বিলে নিয়ে যান। হাঁসগুলো বিলে নেমে খাবার খাওয়া শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝিমাতে শুরু করে। 

আমিন হোসেন ও তার কর্মচারী বিলে থাকা খাদ্যে কেউ বিষ প্রয়োগ করেছে বুঝতে পেরে দ্রুত হাঁসগুলোকে বিল থেকে সরিয়ে খামারে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক হাঁস বিষযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলে। আমিন হোসেন হাঁসগুলো বাড়ির পাশের খামারে নিয়ে আসার পর পরই একে একে মরতে থাকে। বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৪০০ হাঁস মারা গেছে। আরও শতাধিক হাস মুমুর্ষ অবস্থায় আছে, মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। 

আমিন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ১০ লাখ টাকা খরচ করে খামার করেছি। সারা বছর হাঁসগুলো ডিম দেয়নি। এখন কয়েকদিন ধরে ডিম পারা শুরু করেছিল। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হাঁসগুলোকে মারার উদ্দেশ্যে বিলে বিষ প্রয়োগ করে রাঁজাপুর গুচ্ছগ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে রেজাউল মিয়া আমার সর্বনাশ করেছে। আমার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। এই রেজাউল এর আগেও দুই বছর পূর্বে প্রায় ১০ টাকার ক্ষতি করেছিল।

বিজ্ঞাপন

জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, খামার মালিক একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরটিভি/এএএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission