ঢাকারোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১

পটুয়াখালীর সেই শহীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন তারেক রহমান

শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ , ০২:০৬ এএম


loading/img
ফাইল ছবি

ধর্ষণের শিকার শহীদ পরিবারের মেয়েটির পাশে থাকার অঙ্গীকার করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যারা এই জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে এবং অন্যায় করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়বো। 

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) পটুয়াখালীতে জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এক শহীদের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই অঙ্গীকার করেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদের চিকিৎসকরা এবং আইনজীবীরাও আপনাদের পাশে থাকবে। তাদেরকেও সেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপনার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে তার বিচার আপনি পাবেনই। 

বিজ্ঞাপন

এ সময় ওই ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলেন, দেশের মানুষের জন্য যে মানুষটি প্রাণ দিলে মাত্র ৮ মাসের মাথায় সেই দেশের মানুষরা যদি এই প্রতিদান দেয়, তাহলে আমি কি নিয়ে বাঁচবো। আমি আমার মেয়ের নিরাপত্তা চাই, আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই এবং যারা আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। সুষ্ঠু বিচার না পেলে আমি তিন সন্তান নিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকবো। 

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হাসান মামুন, বিএনপি মোশতাক আহমেদ পিনু, বিএনপি নেতা ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান টোটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হাসান মামুন বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান এবং ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। 

বিজ্ঞাপন

পরে তিনি মেডিকেল হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণের মত একটি জঘন্য ঘটনাকে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে পরোক্ষভাবে ধর্ষকদের বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য এক ধরণের কৌশল অবলম্বন করা হয়। সকল অপরাধীকে আমরা অপরাধী হিসেবে দেখি এবং অপরাধীর শাস্তির জন্য আমরা সব রকম ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা ধামাচাপ দেওয়া বা ধর্ষকদের পক্ষালম্বন করার ক্ষেত্রে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে সেটা গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে এবং প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মোশতাক আহমেদ পিনু, বিএনপি নেতা ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান টোটন ও মিজানুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানি এলাকায় জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ পিতার কবর জিয়ারত করে। এর সে একই এলাকায় থাকা নানা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এ সময় একই এলাকার মুন্সী বাড়ির কাছে পৌঁছলে স্থানীয় মৃত মামুন মুন্সীর ছেলে সাকিব মুন্সী (১৯) ও সোহাগ মুন্সীর ছেলে সিফাত মুন্সী (২০) ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক একটি নির্জন বাগানে নিয়ে দুইজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই দুই যুবক ধর্ষণের ভিডিও তাদের মোবাইলে ধারণ করে মুখ বন্ধ রাখতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর ধর্ষক সাকিব মুন্সীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্ত সিফাত মুন্সীকে পুলিশ এখন গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

আরটিভি/কেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |