বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে পণ্য চোরাচালানের সময় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা বিওপির ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের শূন্যরেখায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
জানা যায়, আহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ সালাম (৪২)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি চাকঢালার চেরারমাঠ এলাকার মৃত আফজল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধীনস্থ নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা বিওপির ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের শূন্যলাইন। সেখান থেকে প্রায় ২০০ মিটার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির দখলকৃত পুরান মাইজ্জা ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকায় চোরাচালানের সময় আরকান আর্মির আগে থেকে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি নাগরিকের বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়দের মারফত জানতে পেরেছি। আহত ব্যক্তি সালামকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ দিবাগত রাতে তুমব্রুর ভাজাবনিয়া চিতারকুম নামক স্থানে শূন্যরেখার পাশে এক বাংলাদেশিসহ দুজন ও ২৬ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লেম্বুছড়ি সীমান্তবর্তী ৪৯ নম্বর পিলারের শূন্যরেখায় মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাবু নামে আরও একজন আহত হয়েছিলেন।
আরটিভি/এমকে