কক্সবাজারে ঈদের চতুর্থ দিনেও পর্যটকের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই সৈকতের মূল তিনটি পয়েন্ট কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী ছাড়াও পাথুরে সৈকত ইনানী, পাটুয়ারটেক, প্রাকৃতিক ঝর্ণার হিমছড়িসহ জেলার অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রেও পর্যটকদের আনাগোনা অনেকগুণ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই পর্যটকদের বিচরণে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ঢেউয়ের তালে তালে সকাল থেকেই গোসলে নেমে পড়েন পর্যটকরা। সৈকতের ঘোড়া, জেটস্কি, ওয়াটার বাইক, টিউব নিয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে পর্যটকরা। কেউ বালিয়াড়িতে কীটকট ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি রয়েছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও।
এ দিকে সৈকতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত লাইফ গার্ড কর্মীরা জানান, ঈদের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ৩টি পয়েন্টসহ আবাসিক হোটেল গুলোতে আড়াই লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ পর্যটক সমাগম হচ্ছে।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটক সমাগম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার সার্বিক নিরাপত্তা ও হয়রানি মুক্ত পরিবেশে ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন পর্যটকরা।
এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পচা-বাসি খাবার পরিবেশন, অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থাসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছেন। ইতোমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানাও আদায় করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সৈকতে তিনস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জারি রয়েছে। মূলত তিনটি পয়েন্টে আলাদা আলাদা তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব তথ্য কেন্দ্রের পর্যটকদের যে কোনো অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরটিভি/এমকে