গাজীপুরের জয়দেবপুরে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ পোশাককর্মী সীমা আক্তার (৩০) মারা গেছেন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল এইচডিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে সীমা নামে এক নারী আজ সকাল সোয়া ৯টায় এইচডিওতে মারা যান। তার শরীর ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্যের মধ্যে পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ এবং শিশু আয়ানের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের এইচডিইউতে চিকিৎসা চলছে।
শাওন বিন রহমান বলেন, দগ্ধদের মধ্যে তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মৃত সীমার স্বামী মো. আলহাজ বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী সীমা দুজনেই গার্মেন্টসকর্মী। গতকাল সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়িতে রান্নার কাজ চলছিল। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আমার স্ত্রী ও এক শিশুসহ পাঁচজন শরীরে দগ্ধ হন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে আমার স্ত্রী মারা যান।
এর আগে, রোববার (২৭ এপ্রিল) গাজীপুরের জয়দেবপুরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধরা হলেন— সীমা আক্তার (৩০), পারভিন আক্তার (৩৫) ও তার শিশু ছেলে আয়ান (১), তাসলিমা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে তানজিলা বেগম (১০)।
আরটিভি/আইএম/এআর
