১৪ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করতে আসা পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বাকুলিয়া গ্রাম। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, সম্প্রতি বাকুলিয়া গ্রামের ইমদাদুল ইসলামের স্ত্রীর ভাগ্নে সুজন হোসেন যশোরের এক কিশোরীকে পরিবারের অমতে বিয়ে করে সেখানে নিয়ে আসেন।
এই ঘটনায় মেয়েটির পরিবার যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দেয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই থানার পুলিশ সদস্যরা কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় গত সোমবার মেয়েটিকে উদ্ধারে বাকুলিয়া যান। ওই গ্রামের ইমদাদুলের বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কিছু নারী পুরুষ কিশোরীকে ছিনিয়ে নেওযার চেষ্টা করে।
এই সময় তারা যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই তাপস কুমার পাল, কনস্টেবল রাবিয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুনকে মেরে আহত করে। সংবাদ পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখান থেকে আহত পুলিশ সদস্য ও কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান ও আহত পুলিশ সদস্যদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অন্য নারী ও পুরুষদের দের ভাষ্য পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়। পুলিশ মামলা দিয়ে গ্রামের নিরীহ লোকজনকে আটক করছে এর ভয়ে তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছাড়া। বাকুলিয়া গ্রামের ইমদাদুল ইসলাম সহ কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে কোনো পুরুষকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির নারী সদস্যরা জানাই পুলিশ গ্রামে যাকে তাকে আটক করছে। এর ভয়ে পুরুষরা বাইরে বাইরে থাকছেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, হামলার ঘটনায় সোমবার রাতে যশোর চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই শওকত হোসেন বাদী হয়ে মামলা করে। এতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আর নিরীহ কোনো মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে না।
আরটিভি/এএএ/এআর