জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ হাফেজ মো. হাসানকে গভীর শোক আর শ্রদ্ধায় শেষে বিদায় জানানো হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) সকালে সুবর্ণচরের চর জব্বর ইউনিয়নে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
আজ ভোরে হাফেজ হাসানের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজন, প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন ভিড় করেন। হাসান লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সেলিমের একমাত্র ছেলে। ১০ বছর আগে তার বাবার মৃত্যুর পর হাসানের মা মাহিনুর বেগম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নে হাসানের নানার বাড়িতে।
জানাজায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা অনেক লজ্জিত হাসানের পরিবারের পাশে যেভাবে থাকা দরকার সেভাবে থাকতে পারি নাই। তার বাড়িতে বসতভিটা নাই। দুই বোনের এক ভাই সে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তার মা ও বোনরা ভেঙে পড়েছেন। তার নতুন জায়গায় বাড়ি করার কথা। সেখানেই নতুন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। আমরা চাই তার পরিবারের পাশে সরকার থাকুক। সকল প্রয়োজন পূরণ করুক।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ হাসানের পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাকে জানানোর অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন হাসান। চট্টগ্রাম, ঢাকা ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ মে রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরটিভি/এমএ