পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী ৫ থেকে ১৪ জনু পর্যন্ত দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরের মাধ্যমে কোনো ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। ১৫ জুন থেকে যথারীতি এ পথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তবে এ সময়ে যথারীতি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। প্রতিদিন বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় যাত্রীরা এই দুদেশে আসা-যাওয়া করতে পারবে। ইমিগ্রেশনের সকল কার্যক্রম বন্ধের আওতামুক্ত থাকে।
হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এ কারণে বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে দুদেশের মধ্যে কোনো প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। বন্ধের বিষয়টি ইতোমধ্যে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠন হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছুটি শেষে আগামী ১৫ জুন থেকে পুনরায় বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ সকল কার্যক্রম শুরু হবে। ফলে কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠবে বন্দরের সকল কার্যক্রম। তবে ব্যবসায়ীরা চাইলে সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত অন্য দিনগুলোতে বন্দরের ওয়্যারহাউজ থেকে তাদের পণ্য খালাস বা অন্যত্র পরিবহন করে নিতে পারবেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দুই দেশের যেকোনো উৎসব বা সরকারি ছুটির আওতামুক্ত থাকে। সপ্তাহের ৭ দিনই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড় ৬টা পর্যন্ত এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করেন। ফলে ঈদের কারণে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সঙ্গে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারে কোনো সম্পর্ক নেই।
এ দিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ছুটির দিন ছাড়া কাস্টম হাউস বা শুল্ক স্টেশনগুলোর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ নির্দেশনা অনুযায়ী হিলি বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হবে। ফলে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তারা সার্বিকভাবে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
আরটিভি/এমকে/এস