নোয়াখালীর হাতিয়ায় মামলা প্রত্যাহার না করায় সাবেক এক প্রধান শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে এ ঘটনায় সাবেক এই প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা যায়, শংকর চন্দ্র দাস হাতিয়া সরকারি কে এস এস উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার বাড়ি চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজের হাওলা গ্রামে। অভিযুক্ত নোবেল চন্দ্র দাস একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি।
অভিযোগে জানা যায়, সাবেক প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাসের সঙ্গে জায়গা নিয়ে প্রতিবেশী যুবলীগ নেতা নোবেল চন্দ্র দাসদের বিরোধ চলে আসছিল। প্রধান শিক্ষককের ক্রয় করা সম্পত্তি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ জন্য তারা সেই জায়গা থেকে জোরপূর্বক ফসল ও গাছ কেটে নিয়ে যায়। এসংক্রান্ত আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন শিক্ষক। মামলায় নোবেল দাস বেশ কিছুদিন জেলহাজতে ছিলেন।
জেল থেকে বের হয়ে নোবেল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে শংকর দাসকে চাপ দিতে থাকে। সাবেক এই শিক্ষকের ছেলে মেয়েরা ভারতে অবস্থান করায় তিনি বাড়ীতে স্ত্রীকে নিয়ে একা বসবাস করছেন। এ দিকে ঘটনার দিন ২৭ মে নোবেল দাস কয়েকজন সন্ত্রাসীসহ শংকর চন্দ্র দাসের বাড়ির দরজায় এসে তার ওপর আক্রমণ করেন। তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলেন। পরে বাড়ি থেকে তার স্ত্রী এসে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে রক্ষা করে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় সাবেক এই শিক্ষককে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এ দিকে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় থেমে নেয় ঐতিহ্যবাহী সরকারি কেএসএস উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বুধবার সকালে হাতিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুর রব রাশেদ, শ্রী কৃষ্ণ দাশ, মো. মিলন উদ্দিনসহ অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে খুবই মর্মান্তিক ও লজ্জাজনক হিসেবে উল্লেখ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক দুষ্কৃতিকারীদের মুখোশ উন্মোচন করার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. খোরশেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরটিভি/এমকে-টি