দুই দিন তীব্র যানজট ও যাত্রীদের ভোগান্তির পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় স্বস্তির চিত্র দেখা গেছে। গণপরিবহন থাকলেও যাত্রীর চাপ ছিল কম। মহাসড়কে যান চলাচল ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক।
শুক্রবার (৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে চন্দ্রা ত্রিমোড়ে গিয়ে দেখা যায়, কিছু যাত্রী কাউন্টারগুলোর সামনে অপেক্ষা করলেও সার্বিকভাবে যাত্রীসংখ্যা ছিল কম। মহাসড়কে ছিল না তেমন কোনো যানজট।
পুলিশের তথ্যমতে, উত্তরবঙ্গের ১৭টি জেলার প্রবেশদ্বার চন্দ্রা এলাকা। প্রতি ঈদেই এই এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। এবারও ব্যতিক্রম ছিল না। গেল দুই দিন চন্দ্রায় তীব্র যানজটে নাকাল হয়েছেন ঘরমুখো মানুষ। ধীরগতিতে চলেছে যানবাহন।
তবে শুক্রবার দুপুর গড়িয়ে বিকেলে যাত্রীদের চাপ কমে আসে। পুলিশের হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় এই মহাসড়ক দিয়ে প্রায় ৪৩ হাজার গণপরিবহন পার হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার ড. আকতারুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, গাজীপুর একটি বড় শিল্পাঞ্চল। ঈদ উপলক্ষে একযোগে কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করায় হঠাৎ করে যাত্রীদের ঢল নামে। এতে চাপ সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো যানজট হয়নি। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যেই মহাসড়ক একেবারেই ফাঁকা হয়ে যাবে।
আরটিভি/এএএ