ঢাকাশুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বরিশালে কোস্ট গার্ডের মামলায় কীর্তনখোলা লঞ্চের ২ জন গ্রেপ্তার

বরিশাল প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ১১:২৫ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

বরিশাল লঞ্চঘাটে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রী হয়রানি এবং দায়িত্বরত কোস্ট গার্ড সদস্যদেরকে হুমকি দেওয়ায়, লঞ্চের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে কোস্ট গার্ড।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. শাহজালাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ম্যানেজার রিয়াজুল করিম বেলাল অপরজন লঞ্চের মাস্টার্স শুকুর আলী।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নিয়মিত টহল ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ জুন রাত ৯টায় কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি, ঢাকা সদরঘাট থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও প্রায় ৩ ঘণ্টা বিলম্ব করে যাত্রা শুরু করে।

পথিমধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে মাঝনদীতে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা/ট্রলারের মাধ্যমে অবৈধভাবে অতিরিক্ত যাত্রী উঠায়। ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার ৫৫০ জন হলেও, প্রায় ৪ হাজার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে।

image

বিজ্ঞাপন

ভোর রাতে বৃষ্টির সময় ছাদে ভ্রমণরত যাত্রীদের লঞ্চের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে ছাদের দরজায় তালা দিয়ে রাখা হয়। ফলে, ছাদে আটকিয়ে রাখা নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বরিশাল পৌঁছানোর পর অতিরিক্ত ভাড়া দাবিসহ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার ও লঞ্চের বিভিন্ন অনিয়মকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের তর্কবিতর্ক এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে যাত্রীদের অনুরোধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোস্ট গার্ড, সেনাবাহিনী ও নৌপুলিশ এগিয়ে আসে। এরপর, কোস্ট গার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের মধ্যস্থতায় যাত্রী এবং লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মাঝে সমঝোতা হয়। তবে পরবর্তীতে লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান ও তার ছেলে শান্ত হাসান ঘটনাস্থলে এসে আক্রমণাত্মক ও নাশকতামূলক আচরণসহ মারমুখী হয়ে দায়িত্বরত কোস্ট গার্ড সদস্যদেরকে হুমকি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা প্রদান করে। কোস্ট গার্ড সদস্যরা দক্ষতার সাথে যাত্রীদের লঞ্চ হতে নিরাপদে নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান, তার ছেলে শান্ত হাসান ও লঞ্চ স্টাফদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ও নাশকতামূলক আচরণ এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদান করায়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরটিভি/এএএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |