গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সারাদেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। অথচ তাদের অনেকেই এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ তাদের শেল্টারও দিচ্ছেন। কিশোরগঞ্জেও এই চিত্র বিদ্যমান। ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো ডেভিলদের নতুন ও পুরাতন দলের নেতারা শেল্টার দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জ সদরের কর্শাকড়িয়াইল ও যশোদল ইউনিয়নে গণঅধিকার পরিষদের ২১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, অনেক নেতারা বলছেন অমুক তার আত্মীয়, তমুক তার আত্মীয়- এসব বলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করছেন। বাস্তবে আওয়ামী লীগের এসব ডেভিলদের কাছ থেকে মূলত বড় অংকের টাকা নিয়ে সমঝোতা করে তাদেরকে তারা রক্ষা করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেসব ডেভিলদের যেন আটক করা হয়। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে জুলাই আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তাদের শাস্তি হওয়ার আগে এই দেশের মানুষ রাজনীতি করার অধিকার দেবে না।
গণঅধিকার পরিষদের এই উচ্চতর পরিষদ সদস্য বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি আওয়ামী লীগকে ফেরাতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। এই দেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্র কখনই সফল হতে দেবে না।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে তারা (আওয়ামী লীগ) বাংলাদেশকে ভারতের কাছে ইজারা দিয়েছিল। এর ফলে বাংলাদেশে তারা (ভারত) আধিপত্য বিস্তার করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল না, ভারতের বিরুদ্ধেও ছিল।
অভিযোগ এনে এই গণঅধিকার পরিষদ নেতা বলেন, এখন এই সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা পশ্চিমাদের হয়ে কাজ করছে। আগে ভারতের আধিপত্য ছিল, এখন পশ্চিমাদের আধিপত্য রয়েছে, পরিবর্তন এইটুকুই। আমাদের অবস্থান এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে আধিপত্য থাকবে শুধু এই দেশের জনগণের, অন্য কোন দেশের আধিপত্য আমরা মেনে নেবে না।
এ সময় জনগণের কাছে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন আশা করেন তিনি।
আরটিভি/আইএম