পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ৮ বছরের শিশু নাছিমা আক্তার। পরে সেখান থেকে নিখোঁজ হয় সে। থানায় জিডি করার ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি শিশুটি। পরিবারে নেমেছে এসেছে শোকের ছায়া। শনিবার রাতে মাদারীপুরের কালকিনির কাশিমপুর গ্রামে ঘটে এই ঘটনা। এ ঘটনার পর আতঙ্কে আছে গ্রামের অন্য শিশুর পরিবারও।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) নিখোঁজ শিশুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়।
জানা যায়, একটু আনন্দ উপভোগ করতে মা ময়না বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী হিলু বেপারীর শিপন বেপারীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আসে শিশুটি। বান্ধবীদের সঙ্গে নেচে গেয়ে সময় কাটায় নাছিমা। পাশে নানি আয়মুন নেছার ঘরে শিশুকে ঘুমাতে বলে মা রাত ১১টার দিকে বাড়িতে চলে যায়। এরপর পরই নিখোঁজ ৮ বছরের মেয়েটি। ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদরাসাছাত্রীর সন্ধানে দিশেহারা পরিবার। বাকরুদ্ধ স্বজনরা। খোঁজ পেতে সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো খোঁজই নেই মেয়েটির। সন্দেহজনক জায়গা ও আশপাশের পুকুর-ডোবায় কয়েক দফায় চালানো হয়েছে তল্লাশি। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
নাছিমার খালা সাবিনা বেগম বলেন, গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে আমার ভাগিনিকে কে বা কারা নিয়ে গেছে কিংবা কেউ ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলেছে। আমরা এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবেশি মো. নিজামউদ্দিন বলেন, নিখোঁজ মেয়েটির সন্ধান আমরা চাই। আশপাশের পুকুর-ডোবা ও বাড়িঘর তল্লাশি চালানো হয়েছে, কিন্তু পাওয়া যায়নি। থানায় জিডিও করা হয়েছে, পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
নাছিমার নানি তাসলিমা বেগম বলেন, আমরা নাতনি সুস্থভাবে আমাদের বুকে ফিরে আসুক, এটাই চাই। আর যারা নিয়ে গেছে তাদের বিচারও চাই।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের কালকিনি থানার উপপরিদর্শক পল্বব কুমার সরকার বলেন, গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়ে শিশুটিকে উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে। এর আগে জেলা ও থানার পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। পরিবার থেকে কাউকে কোনো সন্দেহও করছেনা। বিষয়টি পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করছে।
আরটিভি/এমকে