যশোরের ঝিকরগাছায় সাপের কামড়ে সুমাইয়া খাতুন (৯) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সাপের কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হন তার মা খাদিজা বেগম। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন।
বুধবার (২৫ জুন) গভীর রাতে উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সুমাইয়া খাতুন ইমাদুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে বাঁকড়া দাসপাড়ায় নিজ বাড়িতে মা-মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিষধর একটি সাপ তাদের দুজনকে কামড় দেয়। চিৎকার শুনে এলাকার একজন সাপটিকে মেরে ফেলেন। এ সময় তাদের অবস্থা খারাপ হলে স্থানীয়ভাবে ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থা করা হয়। তবে অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় ভোররাতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক সুমাইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে খাদিজা বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে সুমাইয়ার দাদা মোসলেম গাইন বলেন, রাত ১টার কিছু পরে তিনি চিৎকার শুনে অন্য ঘর থেকে এসে দেখেন মা ও মেয়েকে সাপে কেটেছে। বহু সময় ঝাড়ফুঁকের পরও কাজ না হওয়ায় তারা হাসপাতালে যান। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হোসাইন সাফায়েত বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে ঝিকরগাছা এলাকা থেকে সাপের কামড়ে আহত মা-মেয়েকে হাসপাতালে আনা হয়। কিছুক্ষণ পর মেয়ে মারা যায়। মাকে এন্টিভেনম দেওয়া হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরটিবি/এফএ -টি