লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের একাধিক নলকূপ থেকে অনবরত বের হচ্ছে গ্যাস। ম্যাচের কাঠিতেই জ্বলছে আগুন। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরেও এসব বাড়িতে দেখা গেছে লোকজনের উপচেপড়া ভিড়। আগের মতোই বের হচ্ছে গ্যাস। জ্বলছে আগুন।এই গ্যাসেই রান্না-বান্না করতে দেখা গেছে বাড়ির লোকজনকে।
ঘটনাস্থল এলাকায় গত তিন দিন ধরে ভিড় করছেন শত শত কৌতূহলী মানুষ। এতে করে একদিকে গ্যাসের খনি পাওয়ার সম্ভাবনায় উৎসাহ যেমন রয়েছে মানুষের অন্যদিকে দুর্ঘটনার শঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসী। এদিকে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের পূর্ব টুমচর গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার পারিবারিক কাজে ব্যবহারের জন্য একটি গভীর (৯০০ফুট) নলকূপ বসানোর কাজ শেষ করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, শনিবার হঠাৎ নূলকূপের পাইপের পাশে বুদবুদ আওয়াজে প্রাকৃতিক গ্যাস উঠতে শুরু করে। প্রায় ১০ মিনিট ধরে গ্যাসের তীব্রতায় ১৫-২০ ফুট উঁচু পর্যন্ত কাদামাটি উঠতে থাকে। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত হালকাভাবে বুদবুদ করে বের হচ্ছে গ্যাস। ওই নলকূপের পাশাপাশি বসানো ৩০ ফুটের একটি নলকূপের পাইপ দিয়েও গ্যাস বের হচ্ছে এখন। পরবর্তীতে আগুনের সংস্পর্শে এসে সেটা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। বর্তমানে ওই গ্যাসে বাড়ির লোকজনকে রান্নাবান্নার কাজও সারতে দেখা গেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এক নজর দেখতে আশপাশের লোকজন ও উৎসুক জনতা দিন-রাত ভিড় করছেন ওই বাড়িতে। রোববার বিকেলে লক্ষ্মীপুর বাখরাবাদ গ্যাস বিক্রয় কেন্দ্রের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, এর আগে প্রায় তিন বছর পূর্বে একই গ্রামের দক্ষিণ টুমচর এলাকায় আরেকটি নলকূপে একইভাবে গ্যাস বের হয়েছিল। এতে করে গ্রামবাসীর ধারণা পুরো এলাকা জুড়ে ভরপুর রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস। তারা বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকার উদ্যোগ নিলে গ্যাসের খনিতে বদলে যেতে পারে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য।
আবার প্রাকৃতিক গ্যাসে আগুন জ্বলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কিত রয়েছেন বলে জানান গ্যাস সংশ্লিষ্ট বাড়ির লোকজন।
এদিকে বাখরাবাদ গ্যাস বিক্রয় কেন্দ্র লক্ষ্মীপুর এরিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. বোরহান উদ্দিন ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, টুমচরে নলকূপ স্থাপন করলেই গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। গ্যাসের খনি আছে কিনা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
জেবি