• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে প্রাণ গেল চোরের
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সেই ‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত শ্যামল
‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন শ্যামল। এবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শাহাবুল ইসলামকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের কর্মী শ্যামল চন্দ্রকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত শ্যামল চন্দ্র বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের মৃত নেপাল চন্দ্রের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বামনডাঙ্গা স্টেশন বাজার এলাকা থেকে শ্যামল চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেন। শ্যামল চন্দ্র জামায়াতের কর্মী শাহাবুল হত্যা মামলার এজহারনামীয় ৩৪ নম্বর আসামি। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, জামায়াত কর্মী হত্যা মামলার এজহার নামীয় আসামি শ্যামল চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বামনডাঙ্গার মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে শাহাবুল ইসলাম নামে এক জামায়াত কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সাড়ে ১০ বছর পর নিহতের ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে গত ২২ অক্টোবর সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনের নামে এ মামলা করেন। আরটিভি/এএ/এস
খাবারে বিষ মিশিয়ে গরু মেরে ফেলার অভিযোগ
গাইবান্ধায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
বন্যার্তদের না দিয়ে ত্রাণের চাল রেখে দিলেন চেয়ারম্যান, অতঃপর...
সেতুর কাজ শেষ না হতেই দেবে গেছে ৪ পিলার
পশুর হাটে পুলিশের গুলি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মজুমদার বাজারে কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ।  বুধবার (১২ জুন) বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মজুমদার বাজার-সংলগ্ন পরিত্যক্ত জমিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম, থানার ওসি মো. মাহবুব আলম প্রমুখ।            থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো হাটবাজার চলে আসছিল। কোরবানি উপলক্ষে বুধবার পশুর হাট বাসানো হয়। পশুর হাট অবৈধভাবে বসানো হয়েছে মর্মে বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পশুর হাট পণ্ড করে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সাধারণ জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ হাটে আসা অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।            পশু কিনতে আসা গ্রাহক সুজন মিয়া বলেন, ‘পুলিশ অন্যায়ভাবে হাটে প্রবেশ করে হাট পণ্ড করে দেয়। এতে করে কয়েকটি গরু ও ছাগল হারিয়ে গেছে এবং অনেকের টাকা পয়সা ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন খোয়া গেছে।             হাট ইাজারাদার মাইদুল ইসলাম বলেন, মজুমদার বাজারে পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। সে কারণে কোরবানির পশুরহাট বসানো হয়েছে। তারপরও কেন পশুর হাট বসানো যাবে না? সেই মর্মে হাইকোর্টের একটি লিগ্যাল নোটিশ উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে দেওয়া হয়েছে। এরপরও বেআইনিভাবে পশুর হাট পণ্ড করে দেয় পুলিশ।          থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, অনলাইন সেবা ৯৯৯-এ বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কোরবানির পশুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু স্থানীয়রা পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন এবং ৪ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, কেন মজুমদার হাটের ইজারাদার কোরবানির পশুর হাট বসাতে পারবেন না, সে মর্মে হাইকোর্ট একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপির মতামতের জন্য পাঠিয়েছি। কিন্তু মতামত না পাওয়ার আগেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা প্রধান শিক্ষক, গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মধ্যরাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন।  মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি। সোমবার রাতে এ-সংক্রান্ত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।  এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।গণধোলাইয়ের শিকার গোলাম রব্বানী বকুল ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে ও দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের বড় ভাই।  স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায় রাতেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতেও ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান গোলাম রব্বানী বকুল। তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে গণধোলাই দিয়ে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল ও তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি। তবে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা গোলাম রব্বানী বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যান।’  তিনি এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে এ ইউপি সদস্য জানান।  সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে আমাদেরকে বিষয়টি এখনও কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, ‘এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় গোলাম রব্বানী বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছেন বিষয়টি শুনেছি।’ সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কেউ পাস করেনি। এতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এদিকে এ ফলাফল নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম। তিনি মুঠোফোনে বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৪ জন শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেননি। ৯ জন শিক্ষার্থী গণিতে ও পাঁচ জন শিক্ষার্থী অন্য বিষয়ে ফেল করেছেন। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। কেন এমন ফলাফল হলো, সে বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ জানাতে বলা হয়েছে। ফেলের কারণ জানার পর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করলে আজ ১৪ শিক্ষার্থীর এমন পরিস্থিতি শিকার হতো না। শিক্ষকরা সঠিকভাবে ক্লাস নিলে সবাই পাস করতো। এ বিষয়ে ঘগোয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক পুরাতন। ২০০৫ সালের দিকে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। এমন ফলাফলের বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টি আসলে চরাঞ্চলে ও প্রায় শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। ফলে তারা অনেক সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতেন না। যদিও এ বছর ফলাফল এমন হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে যোগাযোগ করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।  সুশান্ত কুমার মাহাতো আরও বলেন, তবে ওই বিদ্যালয় থেকে গত বছর ১৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন পাস করেন। তার আগের বছর ২১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন ১৭ জন। এ রকম ভরাডুবি কখনও হয়নি এ বিদ্যালয়ে। কেন এমন ভরাডুবি ফলাফল হলো সেটির কারণ জানতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, পাস করেনি কেউ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের একটি বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৪ শিক্ষার্থীর একজনও পাশ করেনি। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা ১৩ জন।  রোববার (১২ মে) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। এ বছর বিদ্যালয়টি থেকে ১৪ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে তাদের কেউ পাশ করেনি।  সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিদ্যালয়টির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম মিয়া বলেন, ‘১৪ জন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। একজনও পাস করেনি। রেগুলার ৯ জনের আটজনই গণিতে ফেল। বাকি একজন ইসলাম ধর্মে। গণিতের শিক্ষক আমার এ সর্বনাশ করেছে। নিয়মিত উনি স্কুলে আসতেন না। আসলেও ক্লাস ফাঁকি দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, গতবছর ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন পাস করে। তার আগের বছর ২১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ১৭ জন। এরকম ভরাডুবি কখনো হয়নি আমার স্কুলে। তবে বিদ্যালয়ে মামলা থাকায় আমিও বেশি সময় দিতে পারিনি।