• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
খাবারে বিষ মিশিয়ে গরু মেরে ফেলার অভিযোগ
গাইবান্ধায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শমেস উদ্দীন বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা স্টেশন এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শমেস উদ্দীন বাবু (৫৫) বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি একই ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের মৃত ওসমান মণ্ডলের ছেলে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বুলবুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বামনডাঙ্গা স্টেশন এলাকা থেকে শমেস উদ্দীন বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে গাইবান্ধা ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার শমেস উদ্দীন বাবু গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় জড়িত। এ ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট সদর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন বিএনপি নেতা আব্দুল হাই সরকার। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শমেস উদ্দীন বাবু দলীয় প্রতীকে ২০২১ সালে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু এই নেতা গত ২৭ আগস্ট অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে আওয়ামী লীগের সদস্য ও সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে সেসময় একটি ঘোষণা পত্রেও স্বাক্ষর করেন তিনি।  আরটিভি/এএএ/এসএ
বন্যার্তদের না দিয়ে ত্রাণের চাল রেখে দিলেন চেয়ারম্যান, অতঃপর...
সেতুর কাজ শেষ না হতেই দেবে গেছে ৪ পিলার
পশুর হাটে পুলিশের গুলি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা প্রধান শিক্ষক, গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই
১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কেউ পাস করেনি। এতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এদিকে এ ফলাফল নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম। তিনি মুঠোফোনে বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৪ জন শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেননি। ৯ জন শিক্ষার্থী গণিতে ও পাঁচ জন শিক্ষার্থী অন্য বিষয়ে ফেল করেছেন। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। কেন এমন ফলাফল হলো, সে বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ জানাতে বলা হয়েছে। ফেলের কারণ জানার পর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করলে আজ ১৪ শিক্ষার্থীর এমন পরিস্থিতি শিকার হতো না। শিক্ষকরা সঠিকভাবে ক্লাস নিলে সবাই পাস করতো। এ বিষয়ে ঘগোয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক পুরাতন। ২০০৫ সালের দিকে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। এমন ফলাফলের বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টি আসলে চরাঞ্চলে ও প্রায় শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। ফলে তারা অনেক সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতেন না। যদিও এ বছর ফলাফল এমন হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে যোগাযোগ করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।  সুশান্ত কুমার মাহাতো আরও বলেন, তবে ওই বিদ্যালয় থেকে গত বছর ১৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন পাস করেন। তার আগের বছর ২১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন ১৭ জন। এ রকম ভরাডুবি কখনও হয়নি এ বিদ্যালয়ে। কেন এমন ভরাডুবি ফলাফল হলো সেটির কারণ জানতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, পাস করেনি কেউ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের একটি বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৪ শিক্ষার্থীর একজনও পাশ করেনি। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা ১৩ জন।  রোববার (১২ মে) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। এ বছর বিদ্যালয়টি থেকে ১৪ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে তাদের কেউ পাশ করেনি।  সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিদ্যালয়টির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম মিয়া বলেন, ‘১৪ জন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। একজনও পাস করেনি। রেগুলার ৯ জনের আটজনই গণিতে ফেল। বাকি একজন ইসলাম ধর্মে। গণিতের শিক্ষক আমার এ সর্বনাশ করেছে। নিয়মিত উনি স্কুলে আসতেন না। আসলেও ক্লাস ফাঁকি দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, গতবছর ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন পাস করে। তার আগের বছর ২১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ১৭ জন। এরকম ভরাডুবি কখনো হয়নি আমার স্কুলে। তবে বিদ্যালয়ে মামলা থাকায় আমিও বেশি সময় দিতে পারিনি।