• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়
যুবদলের কর্মিসভায় ককটেল বিস্ফোরণ 
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে মানিকপীর মাদরাসা মাঠে যুবদলের কর্মিসভা চলাকালে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরে ঘটনাস্থল থেকে চারটি ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোদা থানার ওসি আজিমউদ্দিন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেংহারি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আয়োজনে কর্মীসভা চলাকালীন সময়ে মাদরাসা প্রাচীরের বাইরে থেকে দুর্বৃত্তরা লক্ষ্য করে পরপর ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন বোদা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সোহেল রানা, বেংহারি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ওমর ফারুকসহ নেতাকর্মীরা। বোদা থানার ওসি আজিমউদ্দিন বলেন, যুবদলের কর্মীসভা চলাকালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। কোন অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। আরটিভি/এমকে/এআর
পঞ্চগড়ে শেখ হাসিনাসহ ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
তওবা করে ছাড়লেন মাদক ব্যবসা
পঞ্চগড়ে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রসহ ২ জনের মৃত্যু
২২ দিন পর কুড়িয়ে পাওয়া মর্টার শেল ধ্বংস করল সেনাবাহিনী
পঞ্চগড়ে ২২ দিন আগে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টার শেল ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট।  রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকা থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে একটি বাঁশঝাড়ের পাশে সেনাবাহিনীর রংপুর-৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দীনের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল সফলভাবে মর্টার শেলটি ধ্বংস করে।  এ সময় মর্টার শেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। মর্টারশেল ধ্বংসের আগে ওই এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে দূর থেকে মর্টার শেল ধ্বংস দেখতে ওই এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেন।  এ সময় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দলসহ বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর রংপুর-৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দীন বলেন, মর্টারন শেলটি ৫১ মিলিমিটার প্যাকেট বোম। মর্টারশেলটি মরিচা পড়ার কারণে এটার তৈরির বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছে পাওয়া মর্টার শেলটি বিজিবি ওই দোকানের বাইরে গর্ত করে সংরক্ষণ করেছিল। এটি আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সফলভাবেই মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।’ এর আগে, গত ২৩ জুন তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা বাজারে এক পাথর শ্রমিক মহিলা মর্টার শেলটি লোহার দণ্ড মনে করে বাজারের ভাঙারি ব্যবসায়ী আল আমিনের দোকানে নিয়ে আসেন। পরে ওই ব্যবসায়ী দেখে মর্টারশেল সন্দেহ হলে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লোহার দন্ডটিকে মর্টার শেল নিশ্চিত হলে দোকানের পেছনে গর্ত করে পুঁতে রাখেন। পরে রোববার (১৪ জুলাই) মর্টার শেলটি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
পঞ্চগড়ে ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।   রোববার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ বি এম তারিকুল কবির এই দণ্ডাদেশ দেন। সাইফুলের বাড়ি উপজেলা সদরের কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়ায়। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পাঁচ ভাইবোনের বাবা এই সাইফুল ইসলাম। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত বছরের আগস্টে সাইফুলের সঙ্গে তরুণীর মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ওই তরুণীসহ ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের মা-বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তরুণীর চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাবা সাইফুলের বাড়িতে যায় মেয়ে। বিয়ের তিনদিন পর ছোট মা বাইরে থাকার সুযোগে সাইফুল তার ঘরেই ঘুমন্ত মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’ নারী শিশু নির্যাতন দমন নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান বলেন, ‘মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা। এতে করে অপরাধ করতে সাহস পাবেনা।’  
লোহার ওজনে মর্টারশেল বিক্রি, অতঃপর...
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় একটি ওয়ার্কশপ দোকানের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বোম সদৃশ্য মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে বাংলাবান্ধা বিওপি ক্যাম্পের সদস্য ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টারশেলটি উদ্ধার করে ওই দোকানের সংরক্ষিত স্থানে রাখে। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা বাজারের আল আমিন নামে একটি ওয়ার্কশপের সামনে থেকে মর্টারশেলটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল টিমকে মৌখিকভাবে জানানো হয়।  প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ভারত ও ভুটান থেকে পাথরের সঙ্গে আসতে পারে মর্টারশেলটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে এক নারী শ্রমিক পাথরের একটি সাইটে পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্টারশেলটি কুড়িয়ে পান। পরে সেটি লোহা মনে করে আল আমিন ওয়ার্কশপের সামনে এক ভাঙারির দোকানে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন।  পরে লোকজন মর্টারশেল বলে চিনতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে ইউপি সদস্য বিজিবি ও থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বুলবুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মরিচা ধরা মর্টারশেলটি সম্ভবত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে। পরে সেটি কোনো পাথরের স্তূপের পাশে হয়তো পড়ে ছিল। সেখান থেকে বস্তুটিকে এক নারী কুড়িয়ে পেয়ে লোহার দণ্ড ভেবে একটি ভাঙারি দোকানে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন। পরে স্থানীয় দোকানদাররা সেটিকে বোমা (মর্টার শেল) বললে ওই নারী ফেলে রেখে ভয়ে পালিয়ে যান। পরে আর ওই নারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘বিষয়টি সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মর্টারশেলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর পুকুরে মিলল কলেজছাত্রীর মরদেহ
পঞ্চগড়ে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শাহিদা বেগম (১৯) নামে কলেজপড়ুয়া ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় সদরের হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বামনপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, মৃত শাহিদা একই বামনপড়া  গ্রামের হারুনের মেয়ে এবং তিনি হাজি সফির উদ্দীন মহিলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১৪ জুন সকাল ৯টায় নিজ বাড়ি থেকে বের হয় শাহিদা। এরপর দিনভর আর বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখোঁজি করেন। না পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে বাবা হারুন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এর একদিন পর শনিবার সকালে বাড়ির কিছু দূরে তাদের নিজস্ব পুকুরে স্থানীয়রা একটি মরদেহ ভাসতে দেখে থানা পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের জানান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) ইসমাইল হোসেন।  পঞ্চগড় সদর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘ওই ছাত্রীর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 
আষাঢ় মাসজুড়ে ২ লাখ গাছ লাগানো হবে পঞ্চগড়ে
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে জীববৈচিত্রকে রক্ষা, উত্তরাঞ্চলে মরুময়তা রোধ, সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে পর্যটনে মানুষকে আকৃষ্ট করতে বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ, পঞ্চগড় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়বুর রহমান, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক জামিল চৌধুরী ডলারসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা বলেন, শনিবার (১৫ জুন) ১লা আষাঢ় থেকে পুরো মাসজুড়ে পঞ্চগড়ের সদর, তেতুঁলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক, ১৬৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৪টি সরকারি অফিস চত্বর, আশ্রয়ণ প্রকল্প ও বহমান নদীর ধারাসহ ফাঁকা জায়গাগুলোতে ৬৬ প্রজাতির ঔষধি, ফলজ, বনজসহ দুই লাখ বৃক্ষরোপণ করা হবে। এ ছাড়া সৌন্দর্য ছড়ানো সোনালু, জারুল, কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো হবে। গাছ বাঁচলে প্রাণ বাঁচবে।  পরিবেশ, প্রকৃতি ও প্রাণীকূলকে বাঁচিয়ে রাখতে গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করার অনুরোধ জানান তিনি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কয়েকটি এনজিও ২২ হাজার বৃক্ষরোপণ করবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গাছের পরিচর্যায় সুবিধাভোগী নিয়োগ, গাছের চারপাশে বেড়া দেওয়া ও গাছে বাঁশের খুঁটি দেওয়া হবে।  এ সময় গাছে প্রয়োজনীয় পরিমাণে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার কথাও জানান তিনি।
জীবনে প্রথম পাকা বাড়িতে ঈদ ইয়ারজানের
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের নায়ক পঞ্চগড়ের প্রমীলা ফুটবলার ইয়ারজানকে সেমি পাকা ঘর উপহার দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি তার বাড়িতে ওয়াশরুম কাম টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকায় মানসম্মতভাবে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  ঈদের আগেই বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ইয়ারজান ও তার পরিবারের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম। জেলা প্রশাসন জানায়, সাফ জয়ী ইয়ারজানের মা রেণু বেগম দিনমজুর করে সংসার চালাতেন। বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাঁপানি রোগী হওয়ায় কোনো কাজ কর্ম করতে পারেন না। মায়ের টাকা দিয়েই কোনমতে মিলতো দুমুঠো ভাত। ঘরের অবস্থা ছিল আরও জরাজীর্ণ। বেড়া-চাটির ভাঙাচোরা ঘরে বসবাস করতেন তারা। ছিল না একটি ভালো টয়লেট। সাফ জয়ের পর বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসনের। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমি পাকা ঘর এবং প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াশরুম কাম টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের আগেই এমন উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইয়ারজান ও তার পরিবার।  ঘর হস্তান্তরের সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান, হাড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর-ই-আলম, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ওসমান গণিসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। ইয়ারজান বলেন, ঈদের আগে আমার জন্য এটি দারুণ একটি উপহার। আমি খুব খুশি হয়েছি। জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়েছি পঞ্চগড়ের কৃতিসন্তান ইয়ারজান ও তার পরিবার যেন সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পারে। এজন্য আমরা সেমি পাকা ঘর ও ওয়াশরুম কাম টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।