• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
পঞ্চগড়ে বাসের ধাক্কায় এনজিও কর্মী নিহত
পঞ্চগড়ে ট্রাক্টরচাপায় শিশুর মৃত্যু
পঞ্চগড়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করার সময় হালের নিচে চাপা পড়ে ইউসুফ ওরফে সালমান (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত সালমান ওই গ্রামের আবু জিন্নাত সুমনের ছেলে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে বলেয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছিল। জুমআর নামাজ পড়ে বাড়িতে এসে শিশুটি ট্রাক্টরের হালের ওপর চড়ে বসে। এক সময় সে পা পিছলে পড়ে যায়। ট্রাক্টরের চালক পেছনের দিকে না তাকিয়ে জমি চাষ করতে থাকে। এ সময় আশপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকলে চালক ট্রাক্টর রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জমি থেকে শিশু'র মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেয়।  এ বিষয়ে নিহতের বড় চাচা সাইদার আলী বলেন, ‘আমার ভাতিজার জন্মের পরেই তার মা মারা গেছে। আমিসহ তার নানা-নানি তার দেখাশোনা করতাম। দুপুরে সে খেলার মাঝে হাল দেওয়া দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যায়। পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আল ইমরান বলেন, ‘এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত কারও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’ আরটিভি/এমকে/এআর
গুলি করে হত্যার পর যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়
যুবদলের কর্মিসভায় ককটেল বিস্ফোরণ 
পঞ্চগড়ে শেখ হাসিনাসহ ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পঞ্চগড়ে ট্রেনে কাটা পড়ে অন্তর রায় বর্মণ (১৫) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের বড়ব্রিজ নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নিহত শিশু অন্তর মাগুড়া ইউনিয়নের ধ্বনিপাড়া গ্রামের বিরেন চন্দ্র রায়ের ছেলে। সে পঞ্চগড় করতোয়া কালেক্টর আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায় স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, দুর্ঘটনার সময় আশপাশের লোকজন একটি শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় ট্রেনে কাটা পড়ে থাকা স্কুল ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। একই সময় একটি সাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন তারা। দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদসহ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, শিশুটি কোথায় যাচ্ছিল তা জানা যায়নি। পরিবার জানিয়েছে, সকালে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল সে। এ বিষয়ে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে  বলেন, সকালে কাঞ্চন কমিউটার ট্রেনটিতে পঞ্চগড়ে আসছিল। আসার পথে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আরটিভি/এমকে-টি
তওবা করে ছাড়লেন মাদক ব্যবসা
পঞ্চগড়ে এক মাদক ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে তওবা পাঠ করে চিরতরে মাদক ব্যবসা চাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে পৌর এলাকার রামের ডাঙ্গা এলাকার যুবসমাজ ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এক মাদকবিরোধী আলোচনা সভায় প্রকাশ্যে তওবা পাঠ করেন এ মাদক ব্যবসায়ী।    জানা যায়, রামের ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় শত শত মানুষ অংশ নেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীমা শারমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনশী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শহিদুল মান্নাফ কবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, সমন্বয়ক আতিকুজ্জামান আতিক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তারেকুজ্জামান তারেক, মাওলানা মুফতি যোবায়েব আহমেদসহ প্রমুখ।  জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সদর উপজেলার সভাপতি ফাহিম ফয়সালের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় এ সময় সবার উদ্দেশ্যে মাদকবিরোধী স্লোগান উপস্থাপন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান। এ সময় রামের ডাঙ্গা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল হকের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী কাজী ওয়াদুদ রতন তওবা পাঠ করে মাদক ব্যবসা চিরতরে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তওবা পাঠ করান মাওলানা আনিছুর রহমান আনিছ।   এ বিষয়ে রামের ডাঙ্গা এলাকায় মাদকবিরোধী কমিটি করার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, যারা মাদকের সঙ্গে আছেন, সেবন করছেন বা ব্যবসা করছেন তাদের সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। এক মাসের মধ্যে এসব ছেড়ে দিন। না হলে দেয়ালে দেয়ালে আপনাদের ছবি টাঙিয়ে দেওয়া হবে। আরটিভি/এমকে
পঞ্চগড়ে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রসহ ২ জনের মৃত্যু
পঞ্চগড়ে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) সকালে পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, পঞ্চগড় শহরের ডোকরোপাড়া এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে ইদ্রিস আলী তামিম (১৪) ও বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ কালেশ্বরপাড়া এলাকার দিলজান নেছা (৭৫)। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে তামিম দুই বন্ধুসহ উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি পুকুরে গোসল করতে নামে। তিনজনের কেউ সাঁতার না জানলেও তারা পাড় ঘেঁষে অল্প পানিতে গোসল করেন। একপর্যায়ে তারা গভীর পানিতে ডুবে যেতে শুরু করেন। এ সময় দুই বন্ধু কোনোমতে উঠতে পারলেও তলিয়ে যান তামিম। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ভোরে বোদা উপজেলায় কালেশ্বরপাড়া এলাকার দিলজান নেছা নামে এক বৃদ্ধা বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরে ভাসতে দেখেন। তাকেও উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় সদর থানার ওসি রঞ্জু আহম্মেদ ও বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক।  তারা জানান, মরদেহ দুটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে।
২২ দিন পর কুড়িয়ে পাওয়া মর্টার শেল ধ্বংস করল সেনাবাহিনী
পঞ্চগড়ে ২২ দিন আগে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টার শেল ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট।  রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকা থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে একটি বাঁশঝাড়ের পাশে সেনাবাহিনীর রংপুর-৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দীনের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল সফলভাবে মর্টার শেলটি ধ্বংস করে।  এ সময় মর্টার শেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। মর্টারশেল ধ্বংসের আগে ওই এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে দূর থেকে মর্টার শেল ধ্বংস দেখতে ওই এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেন।  এ সময় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দলসহ বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর রংপুর-৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দীন বলেন, মর্টারন শেলটি ৫১ মিলিমিটার প্যাকেট বোম। মর্টারশেলটি মরিচা পড়ার কারণে এটার তৈরির বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছে পাওয়া মর্টার শেলটি বিজিবি ওই দোকানের বাইরে গর্ত করে সংরক্ষণ করেছিল। এটি আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সফলভাবেই মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।’ এর আগে, গত ২৩ জুন তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা বাজারে এক পাথর শ্রমিক মহিলা মর্টার শেলটি লোহার দণ্ড মনে করে বাজারের ভাঙারি ব্যবসায়ী আল আমিনের দোকানে নিয়ে আসেন। পরে ওই ব্যবসায়ী দেখে মর্টারশেল সন্দেহ হলে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লোহার দন্ডটিকে মর্টার শেল নিশ্চিত হলে দোকানের পেছনে গর্ত করে পুঁতে রাখেন। পরে রোববার (১৪ জুলাই) মর্টার শেলটি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
পঞ্চগড়ে ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।   রোববার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ বি এম তারিকুল কবির এই দণ্ডাদেশ দেন। সাইফুলের বাড়ি উপজেলা সদরের কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়ায়। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পাঁচ ভাইবোনের বাবা এই সাইফুল ইসলাম। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত বছরের আগস্টে সাইফুলের সঙ্গে তরুণীর মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ওই তরুণীসহ ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের মা-বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তরুণীর চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাবা সাইফুলের বাড়িতে যায় মেয়ে। বিয়ের তিনদিন পর ছোট মা বাইরে থাকার সুযোগে সাইফুল তার ঘরেই ঘুমন্ত মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’ নারী শিশু নির্যাতন দমন নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান বলেন, ‘মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা। এতে করে অপরাধ করতে সাহস পাবেনা।’  
লোহার ওজনে মর্টারশেল বিক্রি, অতঃপর...
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় একটি ওয়ার্কশপ দোকানের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বোম সদৃশ্য মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে বাংলাবান্ধা বিওপি ক্যাম্পের সদস্য ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টারশেলটি উদ্ধার করে ওই দোকানের সংরক্ষিত স্থানে রাখে। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা বাজারের আল আমিন নামে একটি ওয়ার্কশপের সামনে থেকে মর্টারশেলটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল টিমকে মৌখিকভাবে জানানো হয়।  প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ভারত ও ভুটান থেকে পাথরের সঙ্গে আসতে পারে মর্টারশেলটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে এক নারী শ্রমিক পাথরের একটি সাইটে পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্টারশেলটি কুড়িয়ে পান। পরে সেটি লোহা মনে করে আল আমিন ওয়ার্কশপের সামনে এক ভাঙারির দোকানে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন।  পরে লোকজন মর্টারশেল বলে চিনতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে ইউপি সদস্য বিজিবি ও থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বুলবুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মরিচা ধরা মর্টারশেলটি সম্ভবত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে। পরে সেটি কোনো পাথরের স্তূপের পাশে হয়তো পড়ে ছিল। সেখান থেকে বস্তুটিকে এক নারী কুড়িয়ে পেয়ে লোহার দণ্ড ভেবে একটি ভাঙারি দোকানে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন। পরে স্থানীয় দোকানদাররা সেটিকে বোমা (মর্টার শেল) বললে ওই নারী ফেলে রেখে ভয়ে পালিয়ে যান। পরে আর ওই নারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘বিষয়টি সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মর্টারশেলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’