ঢাকাসোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

প্রতিষ্ঠান ও জানমালের নিরাপত্তা চান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ , ০২:৪৪ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

সরকারের কাছে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়শনের (বাজুস) নেতারা। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র পাহারা বসানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। 

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৮ মার্চ) জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ও জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জান-মালের নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এ সময় বাজুস জানায়, দেশের চলমান অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে কাজ করছে বাজুস। এই লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ব্যবসায়ীদের ওপর সরাসরি আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। পাশাপাশি জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হত্যা, হত্যা চেষ্টা, অপহরণ চেষ্টা আমাদের জান-মালের নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমনকি বাসা বাড়িতেও জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ বোধ করছে না। এসব অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের হাতে জুয়েলারি ব্যবসায়ী হত্যা চেষ্টার ঘটনাও বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বাজুস জানায়, বিগত জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ২৬ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত দেশের প্রায় ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১১টি, আশুলিয়া সাভারে ১টি, মুন্সিগঞ্জে ১টি, খুলনায় ৪টি, কুমিল্লায় ১টি, পটুয়াখালীতে ২টি, ময়মনসিংহে ১টি, সিলেটে ১টি ও হবিগঞ্জে ১টি প্রতিষ্ঠানে চুরি ও ডাকাতি সংঘটিত হয়।
 
বিগত এক বছরে এই চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেশের ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলেও জানায় বাজুস। সংগঠনটি জানায়, আশুলিয়া সাভারে ডাকাতির সময় ডাকাতদের গুলিতে একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী নিহত হয় এবং বনশ্রীতে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের আরও অধিকতর সহযোগিতা প্রয়োজন।
 
এ সব ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে উল্লেখ করে বাজুস জানায়, এ জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের আলাদা দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র প্রহরার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের সকল জেলার জুয়েলারি মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। এছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হওয়া অলংকার উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ১৫ এপ্রিলের পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
 
অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা রোধে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার করারও অনুরোধ করছে বাজুস। এ ক্ষেত্রে করণীয়-
১) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন;
২) প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ও বাহিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা;

৩) সিকিউরিটি গার্ড মোতায়েন করা;
৪) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিশ্চিত করা;
৫) মার্কেটে অবস্থিত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা মার্কেট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ উদ্যোগে পালাক্রমে পাহারা নিশ্চিত করা;
৬) এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করা;
৭) অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনার সম্মুখীন হলে পুলিশ প্রশাসন ও বাজুসকে অবহিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, সহ-সভাপতি এম. এ. হান্নান আজাদ, সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসান, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন খোকন ও সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ অপু প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এমএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |