ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর হোসেন বলেছেন, নির্বাচন করার জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তা ৯৯.৯৯ শতাংশ ছিল। বাকি পয়েন্ট জিরো জিরো নিয়ে যদি আপনারা কিছু বলতে পারেন। তবে মারামারির কিছু ঘটনা আমরা পরে শুনেছি। নির্বাচনের পরে শুনেছি যে, একই দলের মধ্যে হয়তো বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। তারা হয়তো হাতাহাতি করেছে। একেবারে যে ওখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া, ও রকম মারামারি কোথাও হয়নি।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে নির্বাচন বাতিলের যে দাবি বিএনপি জানিয়েছে সে বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন বাতিলের কোনও সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। কেউ যদি চান, আদালত পর্যন্ত যেতে পারেন। পরবর্তীতে আদালত যদি কোনও আদেশ দেন তখন নির্বাচন কমিশন তা দেখবে।
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএমে যা ভোট প্রকৃতপক্ষে দিয়েছে, ঠিক সেটাই পড়েছে। কারণ এখানে অতিরিক্ত ভোট দেয়ার কোনও সুযোগ নেই। আঙুলের ছাপ ও আইডিকার্ড ছাড়া যেহেতু ভোট দেয়ার কোনও সুযোগ নেই, ভোটারকে অবশ্যই ফিজিক্যালি যেতে হয়েছে। ভোটার কেন্দ্রে না গেলে ভোট দেয়ার কোনও সুযোগ নেই।
ভোটার সংখ্যার চেয়ে ভোট বেশি পড়ার অভিযোগের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, একজন ভোট দিতে যাননি, অথচ তার ভোটটি পড়েছে- এরকম একটা দেখাক। তাহলে বলা যাবে, ভোটাররা আসেননি, অথচ ভোট পড়েছে। ইভিএম সিস্টেমে ভোটার না এলে ভোট দেয়ার কোনও সুযোগ নেই। ইভিএমের যে কারিগরি দিক রয়েছে, তাতে এটা সম্ভব না।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এক শতাংশের বেশি ভোট নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশনের কাছে এ ধরনের কোনও অনুরোধ আসেনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও এ ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে দুইটা-একটা কেন্দ্রে হয়তো করতে পারে। এখানে ভোটার আছে ৪০০, সেখানে ৪ জনের বেশির আঙুলের ছাপ মিলছে না।
এসএস