সরকারের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটির অপব্যবহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ‘হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট’এইচবিআরআইকে।
সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা একের পর এক বিকল্প ইট উদ্ভাবন করে বহুতল ভবন বানিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, মাটি পুড়িয়ে ইট বানানোর দিন ফুরিয়ে এসেছে।
থার্মাল ব্লক, সিএসইবি ব্লক, সিএসিবি ইন্টার লকিং ব্লকসহ, ফেরো সিমেন্টের পরিবেশবান্ধব এসব বিকল্প, পোড়া মাটির ইট থেকে সাশ্রয়ী, নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত।
মানুষের সুস্থতার জন্য যেমন দরকার ডাক্তার, তেমনি দরকার, সময়মতো ওষুধ গ্রহণ। একইভাবে, রোগাক্রান্ত পরিবেশকে রক্ষায় দরকার গবেষকদের নতুন নতুন আবিষ্কার বা উদ্ভাবন কাজে লাগানো।
হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনিস্টিটিউট'র গবেষকরা বলছেন, ক্রেতাদের বিকল্প ইট ব্যবহারে অভ্যস্ত করতে, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ইটভাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইতোমধ্যে দেশে ২০টির বেশি কোম্পানি, বিকল্প ইট তৈরি শুরু করেছে।এইচবিআরআই এর পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
তারপরও মাটি পুড়িয়ে ইট বানানো বন্ধ না হলে, প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরকে/ এমকে