আকাশচুম্বী দামের কারণে গরুর মাংসের স্বাদ প্রায় ভুলতেই বসেছেন দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ। তাদের একদিনের আয়ের চেয়েও বেশি ১ কেজি গরুর মাংসের দাম। এ কারণে কোরবানির ঈদ ছাড়া সুস্বাদু এই আমিষের পদটি এখন অনেকটাই সাধ্যের বাইরে।
স্বল্প আয়ের মানুষের বাজারের ফর্দটিও যেনো এভাবেই মাংসের মতো কেটে ছোট হচ্ছে। স্বল্প আয়ের মানুষেরা যেখানে দু’বেলা খাবার যোগাড় করতে হিমশিম খায় সেখানে গরুর মাংস যেন চরম বিলাসিতা। কালে-ভদ্রে খাবার পাতে অন্যান্য আমিষ জুটলেও সারাবছর অধরাই থেকে যায় গরুর মাংস।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয় যখন গরুর মাংস ছিল সব শ্রেণির মানুষের হাতের নাগালে। দাম বাড়ার অসম প্রতিযোগিতায় গরুর মাংস এখন যেন সোনার হরিণ।
তবে আকাশচুম্বী দামও মনোলোভা এই পদটির স্বাদ নেয়া থেকে দমাতে পারেনি উচ্চবিত্ত মুসলিম পরিবারগুলোকে। ছোট-বড় সবার কাছেই সমান জনপ্রিয় গরুর মাংস দিয়ে বানানো হয় নানা পদের খাবার।
এদিকে মাংসের বাজারের উত্তাপ এসে পড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর রান্নাঘরেও। উচ্চমূল্যের বাজারে অনেকেই বেছে নিয়েছেন গরুর মাংসের বিকল্প।
দেশের উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো এখনো গরুর মাংস খাবারের পাতে রাখতে পারলেও, মুদ্রার অন্য পিঠে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষরা তাদের রোজগারেও ছুঁতে পারে না গরুর মাংস। এমন চিত্র দেখা যায় রিকশাচালক, দিনমজুরসহ সীমিত আয়ের পরিবারগুলোতে।
ক্যাবের উপদেষ্টা জানালেন, সীমান্ত থেকে রাজধানীতে গরু আনার পথে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির কারণেই মাংসের বাজারের এ অবস্থা। আর অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারলে গরুর মাংস স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ক্যাব ও মাংস বিক্রেতা সমিতির মহাসচিব পরামর্শ দিলেন, মাংসের বাজারের অস্থিরতা দূর করতে সরকারকে এখনি আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরকে/এমকে