ঢাকা

হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

বুধবার, ২১ জুন ২০১৭ , ০৯:৫৫ পিএম


loading/img

নাজনীন আক্তার হ্যাপী একটি আলোচিত নাম। ঢাকাই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়জীবন, ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে ঘিরে বিতর্ক—সবই ছিল এ দেশের সংবাদমাধ্যমে বহুল আলোচিত। কিন্তু সবাইকে অবাক করে চলচ্চিত্রের রঙিন দুনিয়া ছেড়ে বোরখায় ঢেকে ফেলেছেন নিজের জীবন। হয়ে গেছেন পুরোদস্তুর ধার্মিক।

বিজ্ঞাপন

হ্যাপী থেকে হয়েছেন আমাতুল্লাহ। আরবি এ নামটির বাংলা অর্থ আল্লাহর দাসী। সম্প্রতি নিজের জীবনের এ পরিবর্তন নিয়ে বিস্তৃত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হ্যাপী। আর ওই সাক্ষাৎকার বই হিসেবে বাজারে এনেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান 'মাকতাবাতুল আজহার'। আর 'হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ' নামে বইটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

 প্রতিবেদনে 'হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ' বইটি সম্পর্কে নাজনীন আক্তার হ্যাপী, বইয়ের লেখিকা সাদেকা সুলতানা সাকি, বইটির সহলেখক সাকির স্বামী আবদুল্লাহ আল ফারুক ও 'মাকতাবাতুল আজহার'র মালিক মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লার বক্তব্য প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

বইয়ে নাজনীন আক্তার হ্যাপী বলেছেন, আগের জীবনের নাম-পরিচয় মুছে ফেলার পর নিজেকে সদ্যজাত শিশুর মতো মনে হচ্ছে, এখন আগের জীবনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। সেটা এক ভিন্ন মানুষের গল্প ছিল।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ, যেখানে নৈতিকতার গল্পগুলোই সর্বাধিক জনপ্রিয়তার তালিকায় থাকে, সেই রক্ষণশীল সমাজে সাবেক চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপীর পরিবর্তনের গল্প রোমাঞ্চকরই বটে। একসময় একটি স্ক্যান্ডালের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল হ্যাপীর নাম। সেখান থেকে বেরিয়ে বোরখা পরে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার কাজের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার গল্পটি অনেককেই নাড়া দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ঢালিউড তারকা হ্যাপীর বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০১৩ সালে। সে বছর 'কিছু আশা কিছু ভালোবাসা' নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর খুব দ্রুতই তিনি ভক্তদের মনে জায়গা করে নিচ্ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি ছিলেন তুমুল জনপ্রিয়। কিন্তু ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন হ্যাপী। এরপরই ক্রিকেটপাগল বাঙালির মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। 

বিজ্ঞাপন

রুবেলের ঘটনার পর অনেক দিন লোকচক্ষুর বাইরে ছিলেন হ্যাপী। এরপর যখন সামনে এলেন, সবার চক্ষু চড়কগাছ। চলচ্চিত্র জগতের পোশাকের গণ্ডি ছাড়িয়ে হ্যাপী যে একেবারে বোরখায় আবৃত! এরপরই তার জীবন সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়ে পাঠকের। 

রুবেলের সঙ্গে স্ক্যান্ডালের পর হ্যাপী বদলে গেছেন পুরোপুরিই। অর্ধেক কাজ করার পর ছেড়ে দিয়েছেন চলচ্চিত্র। হাজারো ভক্ত আর চলচ্চিত্রের দুনিয়াকে পেছনে ফেলে হ্যাপী চলে এসেছেন কঠোর সংযমের জীবনে। একটি মাদ্রাসায় কোরআন পড়তে শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন কেউ আমার আঙুলের নখটি পর্যন্ত দেখতে পাবে না। আমি অতীত মুছে ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। 

হ্যাপী অভিনীত শেষ ছবির নাম 'সত্যিকারের মানুষ'। ছবিটি মুক্তির কদিন আগেই তিনি ঘোষণা দেন চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন চিরতরে।   

এইচএম 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |