মধ্যরাতে চমকে দিলেন নিপুণ!
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নাম নিপুণ আক্তার। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খানের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব সারাদেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পেয়েছিল। অবশেষে নয় মাসের আইনি লড়াইয়ের পর সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে দায়িত্ব পালনের পক্ষে রায় দিয়েছেন আদালত।
সম্প্রতি অভিনয়ে খুব বেশি একটা দেখা না গেলেও সরব আছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত মধ্যরাতে ভক্তদের একেবারে চমকে দিয়েছেন তিনি। হাজির হলেন নতুন চেহারায়, যা দেখে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছেন নেটিজেনরা। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) অভিনেত্রী নিপুণ ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন।
এই ছবিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী নিপুণ যে রূপে ধরা দিয়েছেন তা ইতোপূর্বে দেখা যায়নি। এই ছবিতে স্পষ্ট হয়েছে বক্ষবিভাজিকা। নেটিজেনদের অনেকেই প্রশংসা করছেন। অনেকেই জানাচ্ছেন মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
মন্তব্য করুন
অবশেষে তৃতীয় বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব
ব্যক্তিগত জীবনে দুইবার ঘর বেঁধেছিলেন ঢালিউড চিত্রনায়ক শাকিব খান। কিন্তু সংসার জীবনে একবারও স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। প্রথমে ভালোবেসে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে। আব্রাহাম খান জয় নামে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের সেই সংসারে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর। বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা।
অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব। এখানেও থিতু হতে পারেননি তিনি। এ সংসারেও শেহজাদ খান বীর নামে আরেকটি পুত্র সন্তান রয়েছে তার।
প্রেম-বিয়ে-সংসার নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন শাকিব। মাঝে তৃতীয় বিয়ে নিয়েও গুঞ্জন উঠেছিল অভিনেতার। সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে প্রাক্তন দুই স্ত্রী-সন্তান ও তৃতীয় বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন শাকিব।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে তারা আঘাত তো দিয়েছেই, কোনো ভাঙনই তো সুখের নয়। যতটুকু হয়েছে, হয়তো সেটুকুই হওয়ার ছিল। ‘লাইফ ইজ আ জার্নি’— এই যাত্রায় অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, পরিচয় হয়। আমার জীবনে দুইজন (অপু-বুবলী) মানুষ অতীত, এটা আগেও বলেছি। অতীত হিসেবে তারা থাকুক। এসব নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। যা হয়েছে হয়তো ভালোর জন্য হয়েছে।
শাকিব আরও বলেন, আমার দুই সন্তান, বাবা-মা, বোন ও তার পরিবার, কিছু কাছের আপন মানুষ, আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এবং দেশ-বিদেশের কোটি কোটি ভালোবাসার মানুষ রয়েছেন, যারা আমাকে অঢেল ভালোবাসা দেন, তাদেরকে নিয়ে আমি খুব ভালো আছি।
এ সময় শাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনার তৃতীয় বিয়ের গুঞ্জন উঠেছে? পাত্রী নাকি চিকিৎসক! সত্যিই কি আবারও সংসার জীবনে দেখা যাবে শাকিবকে? হবেন? জবাবে চিত্রনায়ক বলেন, মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার, সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে। দেখা যাক, কোনো তাড়াহুড়া নেই যে, নির্দিষ্ট কোনো বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয় পারিবারিকভাবে হবে এবং সেটা বিয়ের পর্যায়ে যাবে। আমার বাবা-মার যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তারা আমাকে সংসারী দেখতে চান।
দুই ছেলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ওরা এখনও অনেক ছোট। বুঝতে শেখেনি। ওরা স্কুলে যাচ্ছে, লেখাপড়া করছে। বাবা হিসেবে আমি ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই। আমি চাই ওরা আমার চেয়েও অনেক বড় হোক। ওদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেওয়ার জন্য যা যা করতে হয় বাবা হিসেবে আমি করে যাব।
আরটিভি/এইচএসকে/এআর
‘আপনি একটা ইহুদি যোগাযোগমাধ্যমে আসছেন হিন্দু-মুসলিম নিয়া’
দেশের সংগীতাঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর। ক্যাসেট-সিডির আমলে অডিওতে রাজত্ব করা এই শিল্পী এখনও বেশ দাপুটে। তার মতো করেই গান প্রকাশ করে চলছেন। তৈরি করে নিজস্ব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তার গাওয়া গানের অডিও-ভিডিও সবই পাওয়া যায়।
গানের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব আসিফ আকবর। প্রায় সময়ই নানা ইস্যুতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে থাকনে। সেই ধারাবাহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি স্ট্যাটস দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ আকবর লেখেন, সনাতন ধর্ম অনুসারী সব ভাই-বোন, বন্ধুদের জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা। আমাদের প্রত্যাশা ভালোবাসাময় বাংলাদেশ। ভালোবাসা অবিরাম।
ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে একজন প্রশ্ন করেন, আপনি একজন মুসলিম হয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর আসিফ আকবর তার প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে একটু বিরক্তের সুরে বলেন, আর আপনি একটা ইহুদি যোগাযোগমাধ্যমে আসছেন হিন্দু-মুসলিম নিয়া। মূর্খ অপদার্থদের প্রজনন বৃদ্ধিতে বিরক্ত বাংলাদেশ।
কমেন্ট বক্সে সানোয়ার হোসেন নামে আরেক ভক্তের ভাষ্য, জি ভাইয়া অনেক সুন্দর পোস্ট ধন্যবাদ আপনাকে। এদেশ একটি পরিবার, আমরা সবাই এই পরিবারের সদস্য। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা মিলেমিশে দেশে বসবাস করতে চাই। ধর্ম যার যার উৎসব তার তার।
আরটিভি /এএ/এসএ
কথা বলতে পারছেন না গায়িকা ও উদ্যোক্তা বর্ষা চৌধুরী, শঙ্কিত পরিবার
গায়িকা বর্ষা চৌধুরীর অনেক পরিচয়—উদ্যোক্তা, অভিনেত্রী ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সুখ-দুঃখের কথা বলে প্রায়ই আলোচনায় আসেন তিনি। অনেক দর্শক এমনও মন্তব্য করেন, বর্ষা চৌধুরীর জীবনের নানা চড়াই-উতরাই হার মানায় সিনেমার গল্পকেও।
বছর দুয়েক আগে দ্বিতীয় স্বামী ব্যান্ডশিল্পী রুমি রহমানের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েন বর্ষা চৌধুরী। এর মধ্যে এক সন্তানের বয়স তখন সবে দেড় মাস। অন্যদিকে বর্ষার সঙ্গে রুমিরও দ্বিতীয় সংসার এটি। দ্বিতীয় স্বামীকে হারানোর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই রুমিকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট ও ভিডিও পোস্ট করে আসছিলেন বর্ষা। কিন্তু হঠাৎই সবাইকে চমকে দিয়ে চলতি বছরের ১৬ মার্চ তৃতীয় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন গায়িকা, অভিনেত্রী ও উদ্যোক্তা বর্ষা। পাত্রটিও ঢাকাই সিনেমার পরিচিত মুখ রাসেল মিয়া।
বিয়ের পর কয়েক মাস ভালো গেলেও সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গেল মাসে ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলা করেন বর্ষা। পরে ফেসবুকে একটি লাইভে আত্মপক্ষ সমর্থণ করে স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ তিনি।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ‘বিয়ের পর আমি আমার ভবিষ্যৎ সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় বিবাদীকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ দিই। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিবাদীর লোভ আরও বেড়ে যায় এবং সে নতুন সিনেমা তৈরি করবে বলে প্রায়ই আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। আর যৌতুকের টাকা না দিলে দ্বিতীয় বিবাহ করবে বলে আমাকে হুমকি দেয়। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায় সময়ই যৌতুকের দাবিতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।’
এদিকে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ছেন রাসেল মিয়া। কিন্তু সেই মামলার রেশ এখনও রয়েই গেছে। জামিনে মুক্তি পেয়েই সংবাদ সম্মেলন করেন পাপমুক্ত সিনেমার সেই অভিনেতা।
অন্যদিকে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে বর্ষা চৌধুরীরর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, Borsha আপু কথা বলতে পারছে নাহ, এক পাশ অবস! মুগদা মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি, সব টেস্ট করা হচ্ছে ব্রেইন স্ট্রোক এর সম্ভাবনা আছে, সবাই দোয়া করবেন।
সবশেষ অবস্থা নিয়ে সেই ফেসবুক থেকেই আরও এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, আপুর আপডেট জানার জন্য সবাই কল দিচ্ছেন, আগের মতই কথা বলতে পারছে না, সাথে ডান হাতটা নাড়াতে পারছেন না। রাতে সিটিস্ক্যান করাতে পারিনি। ডক্টর আসবে ৭টায়, বোঝা যাবে কি হয়েছে। ৯০% ধারণা করছে ব্রেইন স্ট্রোক, মুগদা মেডিকেল থেকে রাতে বলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ভাইয়ারে’ নামে একটি সিনেমা। যেখানে নায়ক ও পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন রাসেল মিয়া। সেসময় রাসেলের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শোরগোল সৃষ্টি হয়। মুক্তির পর এই নায়ক নিজ সিনেমাকে ‘পাপমুক্ত’ সিনেমা বলে ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ‘ভাইয়ারে’ সিনেমাটি দেখলে অজু ভাঙবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাসেল মিয়া। গত ১৮ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে বর্ষার সঙ্গে পরিচয় হয় রাসেল মিয়ার।
আরটিভি /এএ
খুন হলেন বাবা সিদ্দিকি, বড় সিদ্ধান্ত নিলেন সালমান
মুম্বাইয়ের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে। শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পূর্ব বান্দ্রায় ছেলের অফিসের বাইরে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। বলিউডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার। শাহরুখ-সালমানের দীর্ঘ দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন তিনিই। তার মৃত্যুতে স্তম্ভিত তারকারা।
বাবা সিদ্দিকি বলিউড অভিনেতা সালমান খানের খুব ঘনিষ্ঠ। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর পেয়ে বিগবসের শুটিং বাতিল করে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে যান সালমান খান। চোখমুখ থমথমে ছিল তার। সিদ্দিকির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তেরও। এদিন হাসপাতালে ছুটে আসেন তিনিও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবা সিদ্দিকি সেই মানুষ, যিনি শাহরুখ খান ও সালমান খানের দীর্ঘ সময়ের দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন। দুই খানকে আবারও বেঁধেছিলেন বন্ধুত্বের বাঁধনে। এমন প্রিয় মানুষের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে বিচলিত সালমান। নিলেন বড় সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর শুটিং সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।
কয়েক বছর ধরে প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আসছেন সালমান। এ নিয়ে সচেতন ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সুরক্ষার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন এ নেতা। প্রিয় বন্ধুর চলে যাওয়ায় ছুটে আসেন ভাইজান। এ সময় তার মুখ ছিল থমথমে। চেহারায় ফুটে উঠেছিল প্রিয়জন হারানোর কষ্ট।
আরটিভি /এএ
স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে তনির আবেগঘন স্ট্যাটাস
সোশ্যাল ইনফ্লুয়েনসার ও দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রুবিয়াত ফাতিমা তনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠোঁটকাটা স্বভাবের নারী হিসেবে বেশ সুপরিচিত আছে তার। ফেসবুকে তিনি অধিকাংশ সময় সরব থাকেন পোশাকের ব্যবসা নিয়ে। কিন্তু কিছুদিন ধরে সময়টা খারাপ যাচ্ছে এই উদ্যোক্তার। তা চক্ষুগোচর হয় তার সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট দেখে।
তনির ফেসবুক পাতায় দেখা মেলে শুধু হাহাকার। জানালেন, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন তিনি। কারণ, কয়েক দিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন তার স্বামী। যদিও কি অসুখে ভুগছেন, তা কোথাও উল্লেখ করেননি।
এদিকে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) তনি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে তিনি লিখেন, মাম্মি আমার তো ২ দিন পরে জন্মদিন! তুমি কি জানো!! প্লিজ ড্যাডিকে নিয়ে চলে আসো- সারফারাজ। কি উত্তর দিবো? ১৭ অক্টোবর ৫ বছর হবে সারফারাজের, ছেলের জন্মদিন নিয়ে কত প্ল্যান ছিল তার ড্যাডির, আমাকে রেখে লন্ডনে চলে যাবে কত হুমকিও দিলো। আল্লাহতালা উওম পরিকল্পনাকারী।
প্রসঙ্গত, তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। এসবের জবাবও দিয়েছেন তিনি।
শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তনি।
আরটিভি /এএ/এসএ
উপদেষ্টা নাহিদের সমালোচনায় যা বললেন সোহেল রানা
তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন ৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, তবে জাতীয় দিবস হওয়ার মতো নয়। আওয়ামী লীগ তাদের বিভিন্ন দিবসগুলো চাপিয়ে দিয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্য গণমাধ্যমে শোনার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘ভাই নাহিদ, যখন আপনাদের জন্মই হয়নি সেই সময়ের দেশ এবং নেতাদের নিয়ে কথা বলা আপনার জন্য বেমানান। আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না।’
সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে মঞ্চ নাটকের নন্দিত অভিনেত্রী ও নির্দেশক নূনা আফরোজ মন্তব্য করেছেন, ‘এদেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে কীভাবে ৭১, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে পারে! তারা আসলে কারা?’
নূনা আফরোজ ছাড়াও অল্প সময়ে ওই পোস্টে শতাধিক মন্তব্য এসেছে। বেশির ভাগই সোহেল রানার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন, ভিন্ন মতও রয়েছে বেশ কিছু।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৬ অক্টোবর) ওই সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত করেছে। তাকে আপনারা ‘জাতির পিতা’ মনে করেন কি না? এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই কারা তাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।’
জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে ৭ মার্চকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, তবে জাতীয় দিবস হওয়ার মতো না। আওয়ামী লীগ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে।’
৭ মার্চ নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। এই ভূখণ্ডে অনেকেরই ভূমিকা রয়েছে, লড়াই রয়েছে। ইতিহাসের বহুমুখিতা রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে। তাই এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।’
৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের গুরুত্ব হিসেবে কোনো কোনো দিবস প্রতিষ্ঠিত করা হতে পারে। আপাতত ৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। চাইলেই আমলাতন্ত্র পুরো বাতিল করা যাবে না। প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অভিযোগ যে কারও বিরুদ্ধেই হতে পারে। তাই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ সবার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া। জনগণের সমর্থন নিয়েই কাজ করছে সরকার।’
আরটিভি/এএ/এসএ
রামপুরা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে মনি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রামপুরার বিটিভি ভবনের পেছনের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রামপুরা থানার এস আই খান আবদুর রহমান বলেন, ‘মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতরের দিক থেকে আটকানো ছিল। কদিন তার বাসা থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায়নি প্রতিবেশীরা। এক সময় গন্ধ পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।’
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর ‘কী ছিলে আমার’, ‘আমি মরে গেলে’, ‘ফুল ঝরে তারা ঝরে’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ও ‘আমি ঘরের খোঁজে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তবে মাঝে দীর্ঘদিন তিনি নতুন গান প্রকাশ থেকে দূরে ছিলেন।
আরটিভি/এমকে