সামাদ সাহেব একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন, তার পরিবার ছিল সচ্ছল আয়-রোজগারও ছিল সচ্ছল। কিন্তু করোনাকালে চাকরি চলে যাওয়ায় সংসারের ব্যায়ের হিসাব মিলাতে হিমশিম খান। তার ছেলে একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। ছেলে বাবার কষ্ট বা ইনকামের বিষয়ে থকে উদাসীন। ছেলে আধুনিক সবকিছুর সাথে তাল মিলিয়ে চলার কারণে চাকরি চলে যাওয়ার পর কীভাবে সংসারটা চালাচ্ছে সেটা বোঝার চেষ্টা করে না।
এ দিকে বাবা একটা চাকরির হারানোর পর তার চাকরি হচ্ছে না। তাই সামাদ সাহেবের এক বন্ধুর বুদ্ধিতে বাইক কিনে সেটা দিয়ে যেন রাইট শেয়ার করে, কিছু টাকা ইনকামের পরিকল্পনা করে। কিন্তু তার ছেলের সোসাইটি, তার ছেলের ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের সামনে ছোট হবে তাই রাজি হয় না। তাই পরিবারের সঙ্গে জীবনে প্রথমবারের মত একটা মিথ্যা বলে যা তার চাকরি হয়েছে ঢাকার বাহিরে। তাকে কর্মস্থলে যাওয়া আসার জন্য কোম্পানি তাকে এই বাইকটা ব্যাবহার করার জন্য দিয়েছে।
তবে ঘটনাক্রমে ছেলে ও তার বন্ধুরা জানতে পেরে যায়, রাকিব ও তার বন্ধুরাও জানতে পারে সামাদ সাহেব কোন জব করে না, সে বাইক রাইড শেয়ারিং করে। এতে সামাদ সাহেব ছেলের বন্ধুদের কাছে খুব অসম্মানিত হয়। এভাবেই এগিয়ে যায় ওয়েব ফিল্মের গল্প।
এমনই গল্পে নির্মিত হয়েছে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড প্রযোজিত ওয়েব ফিল্ম ‘বাবার বাইক’। রচনা, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা তারিক মুহাম্মদ হাসান। অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ, শেখ স্বপ্না, আরশ খান, অনামিকা ঐশী। এটি ঈদের চতুর্থ দিন রোববার (২ জুলাই) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে আরটিভিতে।