বিনোদন সাংবাদিকতায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন কুদরত উল্লাহ। পাশাপাশি নানান ধরনের লেখায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন এই তরুণ লেখক। এর বাইরেও নিয়মিত গল্প-নাটক লিখে নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন নাট্যকার কিংবা লেখক খেতাবটিও।
ইতোমধ্যেই তার রচিত একাধিক নাটক প্রচার হয়েছে দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন প্লাটর্ফমগুলোতে। বর্তমানে জনপ্রিয় একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বিনোদন বিভাগে কর্মরত আছেন। এরমধ্যেই দায়িত্ব পেলেন স্বনামধন্য সংগঠন টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে। ২০২৩-২৪ সাল মেয়াদে এই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
সম্প্রতি গুলশানের নিকেতনে টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। সংগঠনটির সভাপতি হারুন-রশিদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহসান আলমগীরের সঞ্চালনায় অষ্টম কার্যনির্বাহী মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সংগঠনের আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজনের আহ্বায়ক কমিটি গঠনসহ আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানিয়ে রাখা ভালো, ১৯৯৮ সালে প্রথম এবং ২০০১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সম্মেলনের মাধ্যমে নাট্যকাররা একত্রিত হয়েছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে নব-উদ্যমে পথচলা শুরু করে টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ। এই ধারাবাহিকতায় প্রতি দুই বছর পরপর নতুন কমিটি গঠিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট ২০২২-২৪ মেয়াদে কমিটির সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক হারুন রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আহসান আলমগীর দায়িত্ব পালন করছেন।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহসভাপতি রেজানুর রহমান, উদয় হাকিম ও ইফফাত আরেফীন তন্বী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজম খান, স্বাধীন শাহ্ ও টুকু মজনিউল। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রেজাউর রহমান রিজভী, অর্থ সম্পাদক বিদ্যুৎ রায়, তথ্যপ্রযুক্তি ও অনুষ্ঠানবিষয়ক সম্পাদক দীপু হাজরা, দপ্তর সম্পাদক রাজীব মণি দাস, আইন ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আরিফ খান স্বাধীন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে রয়েছেন অঞ্জন আইচ। পাশাপাশি কমিটিতে কার্যকরী সদস্য হিসেব রয়েছেন- লিপি মনোয়ার, মেজবাহউদ্দীন সুমন,পারভেজ ইমাম, হাসি ইকবাল।