সন্তানদের একমাত্র শান্তির জায়গা মায়ের ডানা। যেখানে নিজেকে সবচেয়ে নিরাপদ মনে করে সন্তানরা। মায়ের পরম যত্নে বেড়ে ওঠে ছোট্ট শিশুটি। মায়ের সঙ্গেই মন খুলে কথা বলা যায়, হাসিতে মেতে ওঠা যায়, সব শেয়ার করা যায়। যার মা আছে সে পৃথিবীর ধনী ব্যক্তি। কারণ, মা ছাড়া পুরো পৃথিবীটাই যেন শূন্য।
ঢাকাই সিনেমারনায়িকা পূজা চেরি। গত বছরের মার্চ মাসে আজকের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তার মা। সোমবার (২৪ মার্চ) এই অভিনেত্রীর মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
মায়ের মৃত্যুর এক বছর পরও সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি পূজা। রোববার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে মা ঝরনা রায়ের সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করে আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
পূজা তার স্ট্যাটাসে লিখেন, মা ও মা! কেমন আছো তুমি? তোমাকে দেখি না ৩৬৫টা দিন হয়ে গেল। কীভাবে চলে গেল সময়টা। গত বছর এই সময়টা আমার কাছে ছিল নরকের আগুনের মতো ভয়ংকর।
মা ঝরনাকে উদ্দেশ করে পূজা লেখেন, বুকে কি যেন আটকে থাকে সবসময় মামুনি। মনে করি, কাঁদলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু না কেমন জানি আরো বুকটা ভারী হয়ে ওঠে। মনে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী পাথর আমার বুকে। মাঝে মাঝে খুব অবাক হই জানো মামুনি, যে মানুষটা তার মেয়েকে ১ মিনিটের জন্য চোখে হারাতো না সেই মানুষটা কতদিন তার মেয়েকে ছেড়ে দূরে আছে।
মা-হারা মেয়েরাই জানে জীবন কতটা বেদনার উল্লেখ করে পূজা চেরি বলেন, জানো মামুনি সবাই আমাকে বলে পূজা তুমি খুব স্ট্রং। হা হা হা, তারা কি জানে, যে মেয়েটা তার মায়ের মতোই! তুমিই তো সব শিখিয়েছো মামুনি। একটা মেয়ের মা ছাড়া তার জীবনটা যে কি বেদনার তা কেবলই ওই মা হারা মেয়েরাই বোঝে।
পূজা চেরি আরও লেখেন, তবে একটা কথা কি মামুনি, তোমার মেয়েটা তোমাকে অনেক ভালোবাসে। পরের জন্ম বলে যদি কিছু থাকে আমি যেন তোমার মেয়ে হয়েই জন্ম নেই। ওপারে ভালো থাকো আমার সোনা মামুনি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে আত্মপ্রকাশ করেন পূজা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ‘নূর জাহান’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নায়িকা চরিত্রে অভিষেক হয় তার। এরপর রায়হান রাফীর পরিচালনায় ‘পোড়ামন টু’ দিয়ে দর্শক মহলে জায়গা করে নেনে তিনি। একই বছর মুক্তি পাওয়া রাফীর দহন সিনেমায়ও ছিলেন তিনি। এরপর নতুন নতুন কাজ দিয়ে দর্শকদের প্রশংসা পাচ্ছেন এই নায়িকা।
আরটিভি/এএ/এআর