বিশ্বজুড়ে অগণিত ভক্ত-দর্শকদের কাঙ্খিত দিনটি চলে এসেছে। ২৩ মে স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে মার্ভেল স্টুডিওর নতুন সিনেমা ‘থান্ডারবোল্টস’। এই সিনেমাটি নিয়েও দর্শকদের যথেষ্ট কৌতুহল লক্ষ্য করা যায়।
মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স-এর পঞ্চম ধাপের শেষ চলচ্চিত্র ‘থান্ডারবোল্টস’। গত ২ মে আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাওয়া ছবিটি দর্শক সমালোচকদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ৭৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে এই ছবি, যা গ্রীষ্মকালীন সিনেমা মৌসুমের জন্য একটি শক্তিশালী সূচনা।
আন্তর্জাতিকভাবে এটি ৮৬.১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, ফলে মোট বিশ্বব্যাপী আয় দাঁড়িয়েছে ১৬২ মিলিয়ন ডলার। সমালোচকরা এই সিনেমার প্রশংসা করেছেন এর গভীর চরিত্র বিশ্লেষণ, মনস্তাত্তি¡ক থিম এবং অভিনয়ের জন্য। বিশেষ করে ফ্লোরেন্স পিউ এবং সেবাস্টিয়ান স্ট্যানের অভিনয় উল্লেখযোগ্য।
রটেন টমেটোস: সমালোচকদের ৮৮% ইতিবাচক রিভিউ দিয়েছে, যা ২০২১ সালের ‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’-এর পর সর্বোচ্চ। সিনেমাস্কোর: দর্শকরা সিনেমাটিকে ‘এ’ রেটিং দিয়েছে। মেটাক্রিটিক: সমালোচকদের গড় স্কোর ৬৮, যা সাধারণত অনুকূল হিসেবে বিবেচিত। সমালোচকরা ফ্লোরেন্স পিউঘের অভিনয়কে বিশেষভাবে প্রশংসা করেছেন। ইইঈ ঈঁষঃঁৎব এর মতে, সিনেমাটি চরিত্রভিত্তিক এবং আবেগপ্রবণ, যা সা¤প্রতিক মার্ভেল সিনেমাগুলোর তুলনায় ভিন্নধর্মী।
এরিক পিয়ারসন এবং জোয়ানা ক্যালোর চিত্রনাট্য থেকে ছবিটি পরিচালনা করেছেন জ্যাক শ্রিয়ার। এতে অভিনয় করেছেন ফ্লোরেন্স পু, সেবাস্তিয়ান স্ট্যান, ওয়াট রাসেল, ওলগা কুরিলেনকো, লুইস পুলম্যান, জেরাল্ডিন বিশ্বনাথন, ক্রিস বাউয়ার, ওয়েন্ডেল পিয়ার্স, ডেভিড হারবার, হান্না জন-কামেন এবং জুলিয়া লুই- ড্রেফাস। ছবিতে একদল অ্যান্টিহিরো একটি মারাত্মক ফাঁদে আটকা পড়ে এবং একটি বিপজ্জনক মিশনে একসাথে কাজ করতে বাধ্য হয়। একটি অস্বাভাবিক সুপারহিরো দলের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি, যারা মূলত অ্যান্টিহিরো বা বিতর্কিত অতীতের চরিত্র।
ছবিতে দেখা যায় যে ইয়েলেনা বেলোভা, বাকি বার্নস, রেড গার্ডিয়ান, ঘোস্ট, টাস্কমাস্টার এবং জন ওয়াকার এই ছয়জন অ্যান্টিহিরো একটি মারাত্মক ফাঁদে পড়ে যায়, যা তৈরি করেছে ভ্যালেন্টিনা অ্যালেগ্রা দে ফন্টেইন। এই ফাঁদ থেকে বাঁচতে তারা একটি বিপজ্জনক মিশনে অংশ নিতে বাধ্য হয়, যেখানে তাদের নিজেদের অতীতের অন্ধকার দিকগুলোর মুখোমুখি হতে হয়।
এই দলের সদস্যরা একে অপরের প্রতি অবিশ্বাসী এবং নিজেদের মধ্যে দ্ব›দ্বপূর্ণ, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তারা একটি দল হিসেবে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করে। এই সিনেমাটি মার্ভেল স্টুডিওর একটি নতুন দিক নির্দেশ করে, যেখানে তারা অ্যান্টিহিরোদের মনস্তাত্তি¡ক দিক এবং তাদের অতীতের ট্রমা নিয়ে কাজ করেছে। এটি মার্ভেলের পূর্ববর্তী কিছু সিনেমার তুলনায় আরও গভীর এবং সংবেদনশীল। এটি তাদের অতীতের ভুল, গ্লানি এবং মুক্তির গল্প। যারা মার্ভেলের নতুন দিক দেখতে চান এবং চরিত্রের গভীরতা উপভোগ করেন, তাদের জন্য এটি একটি অবশ্যই দেখার মতো সিনেমা।
আরটিভি/এসকে