শীতল চৌধুরী নামে এক মডেলকে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগে তার প্রেমিক সুনীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সোনিপাতে খাল থেকে এই মডেলের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। গ্রেপ্তার করার পর সুনীল পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে সোনিপাত পুলিশ।
এক তদন্তকারী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে পানিপাতের আহার গ্রামে একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ে অংশ নিতে যান শীতল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুনীল সেখানে পৌঁছে তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যান।
কিছু পানীয় গ্রহণের পর তাদের মধ্যে পুরোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বাধে। রাত দেড়টার দিকে শীতল তার বোন নেহাকে ভিডিও কলে জানান, সুনীল তাকে মারধর করছেন। এরপর ফোন বন্ধ হয়ে যায় এবং আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
এরপর গত রোববার সোনিপাতের একটি খাল থেকে সুনীলের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িতে শীতলের কোনও খোঁজ না মেলায় সন্দেহ দানা বাঁধে। সুনীল তখন দাবি করেন, অসাবধানতাবশত গাড়িটি খালে পড়ে যায়। তিনি সাঁতরে কোনোমতে বাঁচলেও শীতল ডুবে যান। এরপর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
পরে সোমবার পানিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে গলা কাটা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের পর মরদেহটি শীতলের বলে শনাক্ত করা হয়।
তদন্তে জানা গেছে, শীতল ও সুনীলের মধ্যে ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল। সুনীল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও পরে জানা যায়, তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। এ কারণে শীতল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। শীতল নিজেও বিবাহিত এবং তার পাঁচ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
আরটিভি/এসআর/এস