শীতের রাত। সময় ১১টা। কমলাপুর রেলস্টেশনের একটি প্ল্যাটফর্মে শত শত মানুষের ভিড়। কারণ এখানেই প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমী একটি ছবির শুটিং করবেন। ক্যামেরা, লাইট সবকিছু তৈরি। শুটিং শুরু হতে আরও খানিকটা সময় বাকি।
প্রয়াত চলচ্চিত্র সাংবাদিক মোহাম্মাদ আওলাদ হোসেন বললেন, ‘পাশেই একটি রুমে মেকআপ নিচ্ছে মৌসুমী। তুমি যাও আমি বলে দিচ্ছি।’
ছুটলাম মৌসুমীর সন্ধানে। খানিকটা খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া গেল নায়িকার রুম। নক করতেই দরজা খুলে দিল প্রোডাকশনের কেউ একজন। পরিচয় দিতেই হাসি মুখে সোফায় বসতে বললেন নায়িকা। পৃষ্ঠা ভরা প্রশ্ন নিয়ে বসে আছি। রুমে আরও কয়েকজন আছেন। গল্প শোনাচ্ছেন মৌসুমী। খানিকটা সময় পর সাক্ষাৎকার নিতে চাইলাম তার। হাসি মুখে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির নায়িকা বললেন, ‘আমি সারারাত জেগে শুটিং করবো। আর তুমি এখনই সাক্ষাৎকার নিয়ে চলে যাবে। আমাদের সাথে থাকো। দেখ, আমরা কত কষ্ট করে শুটিং করি।
তবে শেষ পর্যন্ত আর সারারাত অপেক্ষা করতে হয়নি। কিছুক্ষণ পরেই রাত্রির যাত্রী ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। রাত ১২টার দিকে সাক্ষাৎকার নেয়া শেষ হলো। এরই মধ্যে পরিচালকের ডাক আসে। এবার তাকে শুটিং-এর জন্য যেতে হবে।
ময়নার সঙ্গে আমরাও এগিয়ে গেলাম প্ল্যাটফর্মে। ও হ্যাঁ। রাত্রির যাত্রী ছবিতে ‘ময়না’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। অবশেষে শুটিং শুরু করলেন তিনি। চারদিকে লোকে লোকারণ্য। সবাই প্রিয় নায়িকাকে একটি নজর দেখতে এসেছেন।
ঘটনাটি এক ডিসেম্বর ২০১৪ সালের। সেদিনই শুটিং শুরু হয়েছিল রাত্রির যাত্রী ছবির।
ছবিতে মৌসুমীর বিপরীতে আছেন জনপ্রিয় নায়ক আনিসুর রহমান মিলন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে আসছে। পরিচালনা করেছেন হাবিবুর ইসলাম হাবিব।
দর্শকদের উদ্দেশে মৌসুমী বলেন, হাবিব ভাই অনেক কষ্ট করেছেন তার স্বপ্নের ছবিটির জন্য। আমি তার স্বপ্নের ছবিতে চেষ্টা করেছি ভালো অভিনয় করার। দর্শকরা একটি ভালো গল্প পাবেন ছবিটিতে।
এম/জেবি