স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ভারতের কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। গত সপ্তাহে দুবাই থেকে বেঙ্গালুরু আসেন ওই অভিনেত্রী। আগে থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন। এরপর থেকে অভিনেত্রীকে ডিআরআইয়ের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তবে বারবার নিজের বয়ান বদলাচ্ছেন এ অভিনেত্রী। শুরুতে তিনি জানান, এর আগে দুইবার সোনা পাচার করেছিলেন তিনি।
অভিনেত্রী গোয়েন্দাদের জানান, ৩ মার্চই প্রথমবার সোনা পাচার করার চেষ্টা করেন। শুধু তা-ই নয়, সোনা পাচারের কৌশল তিনি কীভাবে শিখেছেন, তা-ও গোয়েন্দাদের বলেছেন।
গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২ কোটি টাকার সোনাসহ গ্রেপ্তার হন রান্যা। তার গ্রেপ্তারির পর থেকেই উঠছে নানা প্রশ্ন! এই সোনা পাচারচক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত, তাদের সঙ্গে অভিনেত্রীর যোগাযোগ কীভাবে। এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা।
বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ডিআরআই হেফাজতে রয়েছেন রান্যা। সেখানেই গোয়েন্দারা তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
তদন্তকারীদের অভিনেত্রী বলেন, গত ১ মার্চ আমি একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পাই। সপ্তাহ দুই ধরে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসছিল। আমাকে দুবাই বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাল গেটে যেতে বলা হয়েছিল। সেখান থেকে সোনা সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ ছিল।
কীভাবে সোনা পাচার করবেন, ইউটিউবের ভিডিও দেখে সেটা শিখেছেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছেন রান্যা। তার কথায়, সোনার বারগুলো দুটি প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়া ছিল। সেই সোনা নিয়ে বিমানবন্দরের বাথরুমে ঢুকে নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে নিই। এমনকি জুতার মধ্যেও সোনার বার লুকিয়ে ফেলি।
কে ফোন করে সোনা পাচারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা জানেন না বলেই পুলিশকে জানিয়েছেন রান্যা। তার দাবি, আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই কে আমাকে ফোন করেছিলেন।
তবে অভিনেত্রী জানালেন, যিনি বিমানবন্দরে সোনা দিয়ে গিয়েছিলেন তাকে, তার উচ্চতা ৬ ফুটের কাছাকাছি। অতীতে এই ব্যক্তিকে কোনদিন দেখেননি বলেই দাবি রান্যার।
২০১৪ সালে ‘মানিক্য’ সিনেমায় কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার সুদীপের বিপরীতে অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতি লাভ করেন রান্যা রাও। পরে আরও কয়েকটি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেত্রী।
আরটিভি/এএ/এস