• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশে ‘পুষ্পা ২’ মুক্তি নিয়ে দুঃসংবাদ
যে কারণে নিজের বাবাকে ‘স্বৈরাচার’ বললেন আয়ুষ্মান খুরানা
বলিউডের তারকা অভিনেতা ও গায়ক আয়ুষ্মান খুরানা। অন্য আট-দশজনের মতো পারিবারিক শাসনে বড় হয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তিনি নিজেও দুই সন্তানের বাবা। তবে অভিনেতার বাবা যেমন ছিলেন তেমনটা নাকি তিনি হবেন না বলে জানান। বাবা হিসেবে কেমন হবেন, সে বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন আয়ুষ্মান খুরানা। তার কথায়, আমার বাবা স্বৈরাচার, কিন্তু আমি বাবা হিসেবে একেবারেই আলাদা। আমি সবসময় বাবার হাতে স্যান্ডেল, বেল্ট দিয়ে মার খেতাম। বিনা দোষেই নাকি বাবার কাছে মার খেতেন বলে জানান আয়ুষ্মান। পুরোনো এক ঘটনা তুলে অভিনেতা বললেন, একদিন পার্টি থেকে ফিরেছি। আমার জামা থেকে সিগারেটের গন্ধ বের হওয়ায় বাবা খুব মেরেছিলেন। অথচ আমি বাবার ভয়ে সিগারেট ছুঁয়েও দেখিনি। তা-ও মার খেতে হয়েছিল। আয়ুষ্মান ও তার স্ত্রী তাহিরার একটি কন্যাসন্তান ও পুত্রসন্তান রয়েছে। তবে কন্যাসন্তান হওয়ার পরে পিতৃত্বের সফর আরও গভীর হয়েছে। বাবা হিসেবে নিজেকে আরও বিশ্লেষণ করতে পেরেছেন বলেও জানান আয়ুষ্মান। আরটিভি/এএ/এস 
যদি আরও সময় লাগে লাগুক, কোনো আফসোস নেই: অপু বিশ্বাস
বিজয়ের মাসে আসছে মৌসুমীর ‘নয়া মানুষ’
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
নগ্ন দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন পার্ক জি-হিয়োন
বিশ্ব টয়লেট দিবসে যে ঘোষণা দিলেন শাকিব খান
নভেম্বরের ১৯ তারিখ একই দিনে দুই দিবস। একটি পুরুষ দিবস এবং অন্যটি টয়লেট দিবস। এমন দিনে ‘টয়লেট’ সংক্রান্ত এক ঘোষণা নিয়ে হাজির হলেন এই সময়ের বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। তবে শুধু শাকিব খানই নয়, ঘোষণার সময় হাজির ছিলেন দেশের জনপ্রিয় এক ঝাঁক তারকা। নভেম্বর মাসজুড়ে প্রতিটি টাইলক্স টয়লেট ক্লিনার বিক্রির থেকে ১০ টাকা দেওয়া হবে সারাদেশে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য। বিশ্ব টয়লেট দিবসে হাইজেনিক টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যে এই ঘোষণা দিয়েছেন মেগাস্টার শাকিব খান। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।  বিশ্ব টয়লেট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আ প্লেস ফর পিস’-কে সামনে রেখে ‘দুস্থ মানুষের টয়লেট নির্মাণে পাশে থাকুন টাইলক্স কিনে’-স্লোগান নিয়ে, এই ক্যাম্পেইনটি ঘোষণা করা হয়। শাকিব খান বলেন, অত্যাধুনিক সব পণ্য তৈরির পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী দেখতে চায় টাইলক্স। আর তাই, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে টাইলক্স হাইজেনিক টয়লেট ক্লিনার উৎপাদন হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় টয়লেট ক্লিনার ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সর্বোচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন কাঁচামাল ব্যবহার করে। শাকিব খান ও মিম ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও টাইলক্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সিয়াম আহমেদ, পূজা চেরী, দীঘি, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান এবং সিনেমা ও সংগীত জগতের আরো অনেক বিখ্যাত তারকা। আরটিভি /এএ 
ময়মনসিংহে বসছে ‘ইউরোপিয়ান আর্ট হাউজ সিনেমা ডে’ এর ৯ম আসর
বিশ্বব্যাপী আর্ট সিনেমা বা বিকল্প চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ এবং প্রদর্শনকারীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব আর্ট সিনেমাস সিআইসিই – আর্ট হাউজ অব সিনেমাস। সংস্থাটি স্বাধীন চলচ্চিত্রের বিশ্ব বিপণন ও প্রদর্শনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই। মূলত আর্ট ফিল্ম প্রদর্শনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সিআইসিই বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সিনেমাহল ও ফিল্ম ফেস্টিভালগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।  সিআইসিই – আর্ট হাউজ অব সিনেমাস ও ইউরোপের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সংগঠন ইউরোপা সিনেমাস এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান আর্ট হাউজ সিনেমা ডে প্রথমবার আয়োজিত হয়। প্রতি বছরই উরোপের বিভিন্ন প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতাগণ ইউরোপিয়ান আর্ট হাউজ সিনেমা ডে’র এম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত থাকেন আর তাদের সমসাময়িক সিনেমাগুলি প্রদর্শিত হয়ে থাকে। সে ধারাবাহিকতায় ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম এন্ড মিডিয়ার হাত ধরেই উরোপিয়ান আর্ট হাউজ সিনেমা ডে এর ২০২৪ সালের ৯ম আসরের সহযাত্রী হয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ২২ নভেম্বর ২০২৪ সালে ময়মনসিংহের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে (টাউনহল)। দিনব্যাপী সমসাময়িক ইউরোপিয়ান আর্ট হাউজ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সিনেমা নিয়ে আলোচনা ছাড়াও ইউরোপিয়ান আর্ট হাউজ সিনেমার পাশাপাশি একটি বাংলাদেশী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার আয়োজন থাকবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইউনেস্কোর বাংলাদেশের প্রধান ড. সুসানভাইজ।  এছাড়াও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. প্রদীপ চন্দ্র কর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার প্রধান ড. মিশাল ক্রিঝা ও ইউরোপিও ইউনিয়নের ক্লাইমেট চেঞ্জ দলের বাংলাদেশ প্রতিনিধি প্রধান মি. হুবার্ট ব্লম। অনুষ্ঠানে ইউরোপিয়ান আর্ট হাউজ সিনেমাস্ ও সিনেমা বিষয়ক আলোচনাপর্বে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা শুভাশীষ রায়, লেখক ও শিক্ষক উম্মে ফারহানা এবং অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক মনোজ প্রামাণিক উপস্থিত থাকবেন। অতিথি হিসেবে থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার হোসেন। ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম এন্ড মিডিয়া একাডেমির নির্বাহী পরিচালক বিবেশ রায় জানিয়ছেন, আয়োজনটি সকলের জন্য উন্মুক্ত হলেও আমন্ত্রণ পত্রের ব্যবস্থা রয়েছে যা প্রবেশপত্র হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া অনলাইনে ফ্রী রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমেও আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ করা যাবে। আরটিভি /এএ 
মহানবি (সা.)-কে সম্মান করতে কোনো ধর্ম বাধা হতে পারে না: স্বরা ভাস্কর
বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর, রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল বিজেপির কট্টর সমালোচক। ছেড়ে কথা বলেন না ক্ষমতাসীন দলটিকে। এবার স্বামী রাজনৈতিক ফাহাদ আহমেদের নির্বাচনেও সরব হয়েছেন তিনি। গেরুয়াবাহিনীর পরোয়া না করে গাইছেন ইসলামের জয়গান। তার মতে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সম্মান করতে কোনো ধর্ম বাধা হতে পারে না। হিন্দু পরিবারে জন্ম স্বরার। বিয়ে করেন ভারতের সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদকে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীকে বিয়ে করায় কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাকে। এবার ফাহাদের হয়ে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েই সেই কটাক্ষের জবাব দিলেন। স্বরা বলেন, মুহাম্মদ (সা.)-কে সম্মান করতে কোনো বিশেষ ধর্মের হতে হয় না। যেকোনো ধর্মে থেকেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ মানবকে সম্মান করা যায়। তিনি বলেন, এটা সত্য যে আমি হিন্দু পরিবারে জন্মেছি, বড় হয়েছি। এটা সত্য যে আমি একজন মুসলিমকে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে নবি মুহাম্মদ (সা.)-কে সম্মান জানানোর জন্য কোনো ধর্ম বা জাত লাগে না। সেটা কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারির ৬ তারিখ দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে বিয়ে রেজিস্ট্রার করেন স্বরা। তারপর ১৬ ফেব্রুয়ারি পরিবারকে স্বাক্ষী রেখে বিয়ে সম্পন্ন করেন তারা। আরটিভি /এএ/এস
বিচ্ছেদের গুঞ্জনে চটেছেন মৌসুমী হামিদ
বর্তমানে তারকাদের সংসার ভাঙার খবর নতুন কিছু নয়। পান থেকে চুন খসলেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। আর এ নিয়ে ভক্তদের মাঝে দেখা যায় প্রতিক্রিয়া। তারকাদের ঘনঘন বিচ্ছেদের খবরের মাঝেও আছে ভিন্ন উদাহরণ। অনেক তারকাই বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন যুগের পর যুগ।  চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ভালোবেসে লেখক-নির্মাতা আবু সাইয়িদ রানাকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ।  সংসার জীবনে দারুণ সময় পার করছেন তারা। এরই মাঝে এ দম্পতির সংসার ভাঙার গুঞ্জন উড়ছে। এ খবর কানে যেতেই চটেছেন মৌসুমী হামিদ। অভিনেত্রীর ভাষ্য, বিয়ের এক বছরও হয়নি। এরই মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মনগড়া খবর! সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মৌসুমী হামিদকে তার দাম্পত্য জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তাদের সংসার অনেক ভালো যাচ্ছে। বিয়ের পর তার জীবনটাই বদলে গেছে। সবকিছুর জন্য খুশি তিনি। পরে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারকাদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে। এ বিষয়ে মৌসুমী হামিদ বলেন, সেই প্রশ্নে আমার উত্তর ছিল যেকোনো মানুষের জীবনে সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু সবার জীবন তো এক নয়, এখন মিডিয়ার মানুষের চেয়ে বাইরের মানুষের ডিভোর্স বেশি হয়। তাদেরটা সামনে আসে না, আমাদেরটা আসে। তার এই মন্তব্য নিয়ে দেশের অনেক গণমাধ্যমে মৌসুমী হামিদের বিচ্ছেদ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেসব সংবাদ দেখে মর্মাহত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। সামাজিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ার কথা জানিয়ে মৌসুমী হামিদ বলেন, ভুয়া একটি খবর যেভাবে ছড়ানো হচ্ছে, সেটা যদি আমার শ্বশুরবাড়ির লোকদের চোখে পড়ে, তারা কীভাবে দেখবেন। নানা প্রশ্ন তৈরি হবে। সামাজিকভাবে আমি ক্ষতির মুখে পড়ব। আমার বিচ্ছেদের সংবাদ দেখে বাবার প্রেশার বেড়ে গেছে। এমনিতেই পরিবার, সংসার, অভিনয়, দেশের পরিস্থিতি— সবকিছু নিয়েই নানারকম মানসিক চাপে থাকি। এর মধ্যে হঠকারিতামূলক কোনো নিউজ দেখলে মনে হয়, কেন অভিনেত্রী হলাম!  প্রসঙ্গত, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মৌসুমী অভিনীত ‘নয়া মানুষ’ সিনেমা। এ ছাড়া নাটক ও ওটিটি প্লাটফর্মেও কাজ করছেন তিনি। আরটিভি/এএ/এস
হানিয়া-বাদশার ভিডিও ভাইরাল
ভারতীয় র‍্যাপার বাদশার সঙ্গে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের প্রেম এখন ওপেন সিক্রেট। তাদের প্রেম নিয়ে যখন সর্ব মহলে চলছে চর্চা ঠিক তখনই এই জুটির নতুন ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল! আর তা নিয়ে শোরগোল নেটিজেনদের মাঝে। সম্প্রতি বাদশার কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন হানিয়া। এরপর তিনি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ইভেন্টের একটি ক্লিপ পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, হানিয়াকে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন বাদশা। ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে, হানিয়া ও বাদশা হাত জোড় করে একে অপরকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। এরপর বাদশা হানিয়ার কাছে এসে তাকে বাহুডোরে আগলে নেন। মঞ্চে যাওয়ার আগে বাদশা সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেন, হানিয়ার জন্য একটু আওয়াজ করুন। এদিকে নিজেদের সম্পর্ককে আপাতত বন্ধুত্বের নাম দিয়েছেন দুজনে। ক্লিপটিতে পাক সুন্দরী হানিয়াকে ধূসর শার্ট এবং ট্রাউজারে দেখা গেছে। বাদশার পরনে ছিল টি-শার্ট ও প্যান্ট। ভিডিও পোস্ট করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, এ আমার সুন্দর বন্ধু! তিনি একজন নিখুঁত রকস্টার! বাদশা আসলে হিরো। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এটি পুনরায় শেয়ার করে বাদশা লিখেছেন, সবাই জানে আসল রকস্টার কে’। কনসার্টটি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে কিছু ভক্ত দাবি করলেও তাদের মধ্যে কয়েকজন দাবি করেছেন যে এটি কানাডায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  এদিকে গত মাসে লন্ডনে গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টে হাজির হয়েছিলেন হানিয়া। সেখানেও বাদশাও উপস্থিত ছিলেন যিনি দিলজিৎ দোসাঞ্জের সাথে মঞ্চ ভাগ করেছিলেন। সেখানেও হানিয়ার সঙ্গে বাদশার অন্তরঙ্গতা ফুটে ওঠে। বাদশা এবং হানিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেম করছেন বলে গুঞ্জন। বিশেষ করে দুবাইয়ে দেখা হলে তারা প্রায়ই ইনস্টাগ্রামে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন। হানিয়া তার সামাজিকমাধ্যমে বাদশাকে নিয়ে হামেশাই পোস্ট করে থাকেন।  এর আগে গ্রেস জ্যাসমিন মাসিহকে ২০১২ সালে বিয়ে করেছিলেন বাদশা। তাদের ৮ বছরের দাম্পত্যে ইতি ঘটে ২০২০ সালে। দুজনের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে, জেসেমাই। আরটিভি/এএ 
‘পাপমুক্ত সিনেমা’র অভিনেতা রাসেল মিয়াকে খুঁজছে পুলিশ
সময়টা ২০২২ সাল, বছরের মাঝামাঝি সময় মুক্তি পায় ‘ভাইয়ারে’ চলচ্চিত্র। সিনেমাটির নির্মাতা এবং অভিনেতা রাসেল মিয়া কখনও রিকশা চালিয়ে, আবার কখনও ঠেলাগাড়ি ঠেলে প্রচার করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার সব প্রচেষ্টা ছাড়িয়ে গেছে সিনেমাটি মুক্তির পর।  ‘পাপমুক্ত সিনেমা’, ‘অজু নিয়ে দেখা যাবে’ এমন ধরনের উদ্ভট, আপত্তিজনক মন্তব্য করে ভাইরাল হন তিনি। এমনকি একটি ভিডিওতে তাকে হাউমাউ করে কান্না করতেও দেখা গেছে- যা ভাইরাল হয়।  চলতি বছরের মে মাসে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ‘ভাইয়ারে’ সিনেমাকে ‘পাপ মুক্ত’ দাবি করে আলোচনায় উঠে আসা অভিনেতা রাসেল মিয়া। কিন্তু বিয়ের চার মাস পার না হতেই দাম্পত্য কলহ ও ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী বর্ষা চৌধুরীর দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি।  এরপর সেই মামলায় ১৬ দিন জেলে থাকার পর ১ জনের জিম্মায় জামিনে বের হন রাসেল মিয়া। জামিনে বের হয়ে স্ত্রীর নামে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ালে পুনরায় কোর্টে আরেকটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন বর্ষা। সেই মামলায় আবারও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে এই অভিনেতার নামে। তারই প্রেক্ষিতে পাপমুক্ত সিনেমার এই নায়ক রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন আলী। তিনি বলেন, মামলাটি গত সপ্তাহে রুজু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। আসামিকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। তবে রাসেল মিয়ার নিজস্ব ঠিকানা না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। তবে চেষ্টা চালাচ্ছি। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৬ মার্চ ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক বিবাদী রাসেল মিয়ার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমি আমার ভবিষ্যৎ সুখের কথা চিন্তা করিয়া বিভিন্ন সময় বিবাদীকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ দেই। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিবাদীর লোভ আরও বেড়ে যায় এবং সে নতুন সিনেমা তৈরি করিবে বলে প্রায়ই আমার নিকট হইতে যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। আর যৌতুকের টাকা না দিলে দ্বিতীয় বিবাহ করবে বলে আমাকে হুমকি দেয়। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায় সময়ই যৌতুকের দাবিতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিতে থাকে। এজাহারে বাদী আরও বলেন, আমি ভবিষ্যৎ সুখের আশায় বিবাদীর নির্যাতন সহ্য করে ঘর সংসার করিতে থাকি। এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিবাদী বাসায় আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করলে এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করায় সে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। এ সময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করার পর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লাইভে রাসেল মিয়ার নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুমাইয়া আফরিন বর্ষা। ওই লাইভে তিনি দাবি করেন, বিয়ের তিনদিন পর থেকেই রাসেল মিয়া যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এ ছাড়াও তার নামে আরও ৬টি এজাহারভুক্ত মামলা আছে বলে জানা গেছে।অন্যদিকে প্রথম স্ত্রীর করা মামলা ওয়ারেন্টের সন্ধান মিলেছে তেজগাঁও থানায়। আরটিভি/এএ 
ফারুকী প্রসঙ্গে আশফাক নিপুন বললেন, ছোট মুখে বড় একটা কথা বলি তাহলে
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে বরাবরই নানান ইস্যুতে প্রতিবাদের সুরে কথা বলতে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কখনও নিজের মতামত প্রকাশ করেন, কখনও আবার সমাজের মানুষের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই তাদেরকে সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়ে নিজের মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন উপদেষ্টাদের শপথবাক্য পড়ান। এরপর থেকে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। বলা হয় তিনি আওয়ামী সরকারের ‘দোসর’। ফারুকীর বিভিন্ন সময়ের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে করছেন সমালোচনা। শুধু তাই নয়, তার পদত্যাগও দাবি করেছেন কেউ কেউ। এরমধ্যে এমন গুঞ্জনও ওঠে, উপদেষ্টা পরিষদে থাকছেন না তিনি! তবে সেই গুঞ্জনে জল ঢালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। এদিন তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সোমবার (১৮ নভেম্বর) দেখা করবেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সংস্কৃতিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে প্রধান উপদেষ্টাকে নিজের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা। এবার ফারুকীকে ‘আওয়ামী দোসর’ বলা নিয়ে কড়া জবাব দিয়েছেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। নিপুন তার ফেসবুকে লেখেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে আওয়ামী দোসর বলা হাস্যকর। দুঃখজনক না বলে হাস্যকর বললাম কারণ খোদ কট্টর আওয়ামী শিল্পী সমাজ থেকে শুরু করে ক্যাডার বাহিনী পর্যন্ত তাকে নিজেদের দলে দেখতে আগেও স্বাচ্ছন্দবোধ করেননি, এখনো করবেন না। বিশ্বাস না হলে আপনার পাশের আওয়ামীজনকে জিজ্ঞেস করে দেখেন? ছ্যাঁত করে উঠবে! তিনি আরও বলেন, উনার (ফারুকী) পুরোনো কিছু স্ট্যাটাস, ছবিই যদি প্রমাণ হয় তাহলে তার বিপরীতে গত ১৫ বছরে, বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে নিরন্তর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমালোচনা করে উনার ফেসবুক পোস্টও আমলে নেওয়া হোক। যেগুলো নিয়ে আওয়ামী শিল্পী সমাজ থেকে শুরু করে খোদ পলাতক প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চূড়ান্ত বিরক্ত ছিলেন? অথবা আওয়ামী সরকারের আমলে দুইবার উনার সিনেমা আটকে দেওয়া আমলে নেওয়া হোক। ফারুকীকে সংস্কৃতি উপদেষ্টা করায় যারা সমালোচনায় মেতে উঠেছেন তাদের উদ্দেশে নিপুন প্রশ্ন রেখে বলেন, ফারুকীর সংস্কৃতি উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে প্রচুর সমালোচনা। উনি সংস্কৃতির লোক তাই উনাকে এই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বানানো। উনাকে তো অর্থ, বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র, আইন বা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা করা হয় নাই। উনি দেশে বিদেশে সংস্কৃতি অঙ্গনের বিখ্যাত মানুষ, জুলাই আন্দোলনেরও বহুকাল আগে থেকেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনায় সরব, স্পিরিটে তরুণ তাই হয়তো উনার এই নিয়োগ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই আন্দোলনের স্পিরিট, ডকুমেন্টস ধারণ করার মতো কাজ উনি যদি করে দেখাতে না পারেন তাহলে আমিও উনার সমালোচনা করব। ১০০ বার করব। কিন্তু কাজটা তো করে দেখানোর সুযোগ দিতে হবে আগে? সেটাও দেওয়া যাবে না কেন? শত শত ফ্যাসিস্ট সমালোচনার বাইরে উনার কয়েকটা ফেসবুক পোস্ট বা পলক সাহেবের সাথে একটা ছবির কারণে? ছোট মুখে বড় একটা কথা বলি তাহলে, বেয়াদবি মাফ করবেন। এই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সম্পৃক্ত অনেককেই আমরা চিনি, জানি যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুইভাবেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিল। কেউ ইচ্ছাকৃত, কেউ অনিচ্ছাকৃত, কেউ কৌশলে আর কেউ বাধ্য হয়ে ছিল। কিন্তু আন্দোলনের স্পিরিটে ফ্যাসিস্ট তাড়াতে সবাই এক হয়ে গিয়েছিল। এই ঐক্যই ছিল আমাদের শক্তি। এখন এই ডিভাইড এন্ড রুল পলিসি কেন? কার বা কাদের সুবিধার জন্য?-প্রশ্ন রাখেন নিপুন। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ফারুকীকে নিয়ে সমালোচনা কইরেন’-এমন মন্তব্য করে নিপু তার লেখার শেষে বলেন, ফারুকীর কাজের সমালোচনা ১০০ বার করেন। সেটা উনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব উনি পালন করতে না পারলে করেন। যৌক্তিকভাবে করেন। কিন্তু উনি যা না, যা উনি বলেন নাই, সেটার পিছনে অযৌক্তিক সমালোচনা করে শক্তি নষ্ট কইরেন না। আমি বিশ্বাস করি, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এই মহান আন্দোলনকে ডকুমেন্টেড করার জন্য উনার সেবাবলে সর্ব্বোচ্চটাই ঢেলে দেবেন। সেই সক্ষমতা উনার এবং উনার টিমের আছে। আমি সাগ্রহে তাকিয়ে আছি উনি আমাদের কি কি উপহার দিতে পারেন সেদিকে। না পারলে তখন উনাকে গালমন্দ কইরেন।