এবারের ঈদে ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ছবিগুলো হলো—‘তাণ্ডব’, ‘ইনসাফ’, ‘এশা মার্ডার’, ‘উৎসব’, ‘নীলচক্র’ ও ‘টগর’। তবে মুক্তির পর থেকেই আলোচনা ও দর্শক টানতে অন্য ছবিগুলোর থেকে পিছিয়ে ছিল আদর আজাদ ও পূজা চেরী অভিনীত অ্যাকশন সিনেমা ‘টগর’। আলোক হাসান পরিচালিত দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়ায় এরই মধ্যে সিনেপ্লেক্সগুলো থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সিনেমাটি। গতকাল শুক্রবার থেকে দেশে মাত্র তিনটি হলে চলছে আলোক হাসানের এ সিনেমা।
এদিকে সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এআর মুভি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ‘টগর’ এ সপ্তাহে মাল্টিপ্লেক্সে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়নি তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তে। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত অন্য পাঁচটি চলচ্চিত্রের কারণে ‘টগর’র শো-টাইম দর্শকদের উপযুক্ত সময় অনুযায়ী নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে তাদের স্বার্থ বিবেচনায় টিম ‘টগর’ এক সপ্তাহের জন্য মাল্টিপ্লেক্স থেকে চলচ্চিত্রটি সরিয়ে নিয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে আবারও মাল্টিপ্লেক্সে ফিরবে টগর—নতুন সময়সূচিতে ও সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে। এ ক্ষেত্রে দর্শকের ভালোবাসা ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে টিম ‘টগর’।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছবিটি মুক্তির পর থেকেই প্রত্যাশিত সাড়া মিলছিল না দর্শকদের। সিনেমাটি নিয়ে হতাশাজনক প্রতিক্রিয়া দেন দর্শকেরাও। সামাজিকমাধ্যমে সিনেমাটি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন দর্শক। এ ছাড়াও প্রদর্শনীর পর হল থেকে বেরিয়ে সিনেমাটি নিয়ে দর্শকেরা তিক্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। যাদের অধিকাংশেরই মন্তব্য ছিল—‘টগর সিনেমা দেখে টাকা ও সময় দুটিই নষ্ট হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছবিটি মুক্তির পর থেকেই প্রত্যাশিত সাড়া মিলছিল না দর্শকদের। ‘তাণ্ডব’সহ অন্য ছবিগুলোও প্রথম সপ্তাহে দর্শক টানতে পারলেও ‘টগর’ সেক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে।
টগর নির্মিত হয়েছে বন্দর এলাকার গল্পে। কালোবাজারিতে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে নিত্যই ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা তরুণ টগর স্বভাবে প্রতিবাদী। ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তাদের টার্গেটে পরিণত হয় টগর। কিন্তু সে-ও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। শুরু হয় দ্বন্দ্ব।
আলোক হাসানের পরিচালনায় আদর ও পূজা চেরি ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার প্রমুখ। দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ঢাকার আজাদ সিনেমা হল, নীলফামারীর বাবু টকিজ এবং নওগাঁর ফাইভ স্টার সিনেমা হলে।
আরটিভি/এএ -টি