অনেকেই এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রতিদিন অনেকেই অফিস কিংবা বাড়িতে লিফট ব্যবহার করেন। ফলে এমন অভিজ্ঞতা নিজের হয়েছে কিংবা অন্য কারও সাথে হয়েছে। প্রায়ই শোন যায় লিফট ছিঁড়ে দুর্ঘটনায় আহত কিংবা নিহত হয়েছে। লিফটে আটকে গেলে নিজেকে শান্ত রাখুন। তারপর সমাধানে চেষ্টা করুন।
জেনে নিন লিফটে আটকে গেলে কী করবেন?
লিফটে আটকে গেলে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ভয়ের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন। আপনার কাছে ফোন থাকলে, লাইট জ্বালিয়ে নিন। লিফটের দরজার পাশে থাকা ওপেন বাটন চাপ দিয়ে দেখুন খুলছে কিনা। যদি না হয়, ইমার্জেন্সি বাটন চাপুন।
যদি দরজা খুলে যায় তবে আগে দেখুন লিফটি কোন তলার ফ্লোরের সমতলে রয়েছে কিনা। যদি তা না হয় তবে তাড়াহুড়ো করে বের হবেন না। অপেক্ষা করুণ ভবনের উদ্ধারকারী দল আসা পর্যন্ত। বর্তমানে বেশিরভাগ লিফটেই দুই দিক থেকেই কথা বলা যায় এমন স্পিকার বা টেলিফোন থাকে। ফলে লিফটে সেই ফোন বা স্পিকারে আপনার অবস্থান জানান।
অনেক লিফটে ফোনের নেটওয়ার্ক থাকে না, ফলে থাকছে না বাইরে যোগাযোগের সুযোগ। সেক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি বাটনই একমাত্র ভরসা। যদি নেটওয়ার্ক পেয়ে যান সবচেয়ে কাছের কাউকে ফোন করুণ। যেন সে কন্টোল অফিসকে জানাতে পারে।
অনেকের ধরনা লিফটে অক্সিজেন সরবরাহ একদমই হয় না, ফলে নিশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। ধারনাটি একদমই ঠিক নয়। কারণ লিফটের ভেতরে বাতাস চলাচলের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকে। যদি আপনি একাই লিফটে উঠেন, তবে লিফটের দেয়ালের কাছে দাঁড়ান।
লিফটে আটকে যাওয়া আতঙ্কের কারণ হতে পারে। লিফটে লোকের সংখ্যার উপর নির্ভর করে, সবাই যদি আতঙ্কে প্রবল ভাবে শ্বাস নিতে শুরু করে, তবে অস্বস্তি বাড়বে। শান্ত থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে এবং লিফটে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিদেরও শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
দরজা থেকে দূরে থাকুন। লিফট বা অ্যালার্ম কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে, লিফটের পেছনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকুন। যাতে লিফট কোম্পানি বা কেউ যখন দরজা খোলার চেষ্টা করে, তাদের ভেতরে প্রবেশের জন্য একটি জায়গা থাকে।
যখন লিফট ভেঙে যায়, তখন কিছু মানুষ ঘাবড়ে যায় এবং লাফিয়ে লিফট চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এতে লিফটের স্টেবিলাইজার সিস্টেম প্রভাবিত হয় এবং এটিকে স্থির রাখা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তাই লাফালাফি করবেন না শান্ত থাকুন।
যদি দেখেন লিফট খুব দ্রুত গতিতে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। তাহলে শুয়ে পড়ুন। কাছে কোনো ব্যাগ থাকলে সেটি মাথার নিচে দিন। না থাকলে হাত মাথার নিচে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। এতে বড় আঘাত থেকে রক্ষা পাবেন।
ছোট শিশুরা যেন একা একা লিফটে না উঠে সেটি লক্ষ্য রাখুন।
আরটিভি/এসকে/এআর