বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারতো। কিন্তু অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন ডাক্তার ও রোগীসহ বেশ কয়েকজন। ভারতের নাগপুর থেকে হায়দরাবাদগামী একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। মাঝ আকাশে প্লেনের একটি চাকা খুলে পড়ে গেলেও ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করে বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হলেন সেটির পাইলট। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
জানা গেছে, নাগপুর থেকে হায়দরাবাদ যাচ্ছিল বিমানটি। তাতে একজন রোগী ও একজন ডাক্তার ছিল। কিন্তু আকাশে ওড়ার পরই বিমানটির যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা যায়। এমনকি কিছুক্ষণ পর বিমানের একটি চাকা খুলে পড়ে যায়। তখনই বিমানের জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। আর তাতে সফলও হন তিনি।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মুম্বাই বিমানবন্দরে প্লেনটি নামানো হয়। ওই প্লেনে রোগী, ডাক্তার, রোগীর আত্মীয়সহ দুজন বিমান ক্রু ছিল। সবাই নিরাপদ ও অক্ষত আছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মুম্বাই এয়ারপোর্টে বিমানটির অবতরণ করানো হয়।
-
আরও পড়ুন... আইসিইউতে ৬ লাশ তালা দিয়ে পালালেন ডাক্তাররা
তবে অবতরণ সহজ ছিল না। ল্যান্ডিং গিয়ার ব্যবহার না করে বেলি ল্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন পাইলট। সেই কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রানওয়েতে ফোমের ব্যবস্থা করেছিল বিমানবন্দর কর্মীরা।
এমন অবতরণ নিয়ে উত্তেজিত ছিলেন পাইলট কেশরী সিংও। তিনি বলেন, প্লেনের চাকা খুলে যাওয়ার পরই বুঝেছিলাম অবতরণ করতে হলে অনেকটা জ্বালানি পোড়াতে হবে। এজন্য আমি বেলি ল্যান্ডিংয়ের পক্ষে ছিলাম। তবে রানওয়ের কোনও ক্ষতি হবে কিনা জানতাম না। তবে শেষপর্যন্ত ঠিকভাবেই ল্যান্ড করতে সক্ষম হই।
-
আরও পড়ুন ... যেসব বিভাগ করোনায় সবচেয়ে নিরাপদ
এদিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ঝুঁকিবহুল অবতরণের আগে টেনশনে ছিলেন কেশরী। তবে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিরাপদে প্লেন অবতরণে সফল হন তিনি। পরে আধা সামরিক বাহিনী ও বিমানবন্দর কর্মীদের যৌথ তৎপরতায় দ্রুত যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
এ