পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় ভারতের পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার (১০ মে) ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর ভারতের উত্তরাঞ্চলে ড্রোন হামলা শুরু করে পাকিস্তান।
বর্তমানে যে হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসাধীন সেখানকার চিকিৎসক কামাল বাগি বলেন, ড্রোন হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি দুজনের শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। সবারই চিকিৎসা চলছে।
ফিরোজপুরের পুলিশ কর্মকর্তা ভুপিন্দর সিং বলেন, আমরা তিনজনের আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তারা দগ্ধ হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। এর জন্য পাকিস্তানের ওপর দায় চাপিয়েছে ভারত। তবে তা নাকচ করেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান চালায় ভারত। ওই রাতেই দেশটির পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করে পাকিস্তান।
এরই মধ্যে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের তৈরি ভারতের ২৯ ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
এদিকে, ভারতে পাল্টা সামরিক হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান। শনিবার (১০ মে) ভোরে অপারেশন ‘বুনিয়ানুম মারসুস’ নামের এই হামলা শুরু হয়।
যদিও উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়ার দাবি করে ভারতের প্রতিরক্ষা বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও রাডার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে লাহোরে একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।
এ ছাড়া নিজেদের যুদ্ধবিমান হারানোর কথা যদিও স্বীকার করেনি ভারত। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে মঙ্গলবার রাতে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। সেগুলোর মধ্যে অন্তত একটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান ছিল।
আরটিভি/এফএ/এস