জর্ডানের আম্মানে আজ সকালে শহরজুড়ে দুইবার সাইরেন বেজে উঠেছে, যেটা ইঙ্গিত দেয় ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আম্মান থেকে বিবিসির সংবাদদাতা এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে জেরুজালেম থেকে বিবিসির সংবাদদাতা একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জর্ডানকে টার্গেট করে নয়। তবে জর্ডানের বিমানবাহিনী সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এই ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলো তাদের ভূখণ্ডে অবতরণ করতে পারে মনে করে এগুলোকে প্রতিহত করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দেওয়া বা প্রতিহত করার ফলে আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
এই অঞ্চল জুড়ে বাতিল হওয়া ফ্লাইটের ঢেউয়ের পাশাপাশি পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে এই সংঘাত কীভাবে প্রভাবিত করছে এটি তার আরেকটি লক্ষণ।
এর আগে, মার্কিন বাহিনী ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা—নাতাঞ্জ, ইসফাহান ও ফোরদোতে বিমান হামলা চালায় শনিবার দিবাগত রাতে। হামলার পর জাতির উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভাষণে তিনি বলেন, আমরা ইসরায়েলের জন্য এই ভয়াবহ হুমকি মুছে ফেলার জন্য অনেক দূর এগিয়েছি। হয় শান্তি স্থাপন হবে, না হয় ইরানের জন্য এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি রয়েছে। আজ রাতের হামলা ছিল সবচেয়ে কঠিন এবং সবচেয়ে বৈধ। যদি দ্রুত শান্তি না আসে, তাহলে আমরা সেই অন্য লক্ষ্যবস্তুগুলোতেও আঘাত করব নিখুঁতভাবে, দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
সেই থেকে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত উভয় দেশের অনেকে নিহত ও আহত হলেও এই সহিংস পরিস্থিতি থামাতে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আরটিভি/এস