জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে ভারতের বিজেপি শাসিত সরকার। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আজ সোমবার পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা দেন। এর সঙ্গে সংবিধানের ৩৫এ ধারাটি বিলুপ্ত হয়ে গেলো। তবে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা থাকবে বলে জানা গেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভাষণে জম্মু ও কাশ্মীরকে পুনর্গঠনের কথা উল্লেখ করেন।
সোমবার সকালে সংসদ শুরু হতেই রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন অমিত। সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল জুড়ে দেন। এসময় কয়েক মিনিটের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে বিরোধীদের হই হট্টগোলের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
----------------------------------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি প্রক্রিয়া জটিল করছে জাতিসংঘ: পিয়ংইয়ং
---------------------------------------------------------------------------------------
এদিকে বিজেপি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি ভারত সরকারের এমন ঘোষণাকে দেশটির ইতিহাসের অন্ধকারতম দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে সংসদে বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, বিজেপি দেশের সংবিধানকে হত্যা করছে।
এর আগে গতকাল রাতে রাজ্যের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে প্রশাসন। এসময় রাজ্যের শ্রীনগরে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে উপত্যকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে উপত্যকায় সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছিল ভারত সরকার। সেখানে ইতোমধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি আধা সামরিক বাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়। এরই মধ্যে অমরনাথের উদ্দেশে আসা সব তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের উপত্যকা থেকে বের করে নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এ
মন্তব্য করুন