জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আর সম্ভব হচ্ছে না। ইসরায়েল নতুন করে অভিযান চালানোর পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, গাজা থেকে তাদের এক-তৃতীয়াংশ কর্মীকে সরিয়ে আনা হবে। কোনোভাবেই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে কর্মীদের তারা গাজায় রাখতে চাইছেন না।
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে অন্তত সাতশ মানুষ নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে শিশু এবং নারীও আছে। জাতিসংঘের কর্মীরাও আহত হয়েছেন। বেশ কিছুদিন সংঘর্ষ-বিরতি চলার পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল নতুন করে গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকায় বোম মারা হচ্ছে। তারই জেরে জাতিসংঘ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে এরইমধ্যে সিরিয়ার দারাতেও বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। দারা অঞ্চলে লাগাতার বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সিরিয়ার প্রশাসন এখনো কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি।
ইসরায়েলে বিক্ষোভের মধ্যেই মঙ্গলবার পার্লামেন্টে বাজেট পাশ হয়েছে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অস্তিত্ব অটুট থাকলো। এদিন বিক্ষোভের মধ্যেই সরকারপক্ষের বাজেট পাশ হয়। ৬৬-৫২ ভোটে এদিনের বাজেট পাশ হয়। এমাসের মধ্যে বাজেট পাশ না হলে পার্লামেন্ট ভেঙে যেতো এবং নতুন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হতো। বাজেট পাশ হলেও এদিন পার্লামেন্ট চত্বরজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়েছে।
হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের পরিবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কেউ কেউ পার্লামেন্টের ভিতরে চেম্বারে ঢুকেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিরোধী নেতারা লেখা পোস্টার নিয়ে পার্লামেন্টে বসেছিলেন।
এখনো হামাসের হাতে ৫৯ জন বন্দি। এর মধ্যে ২৪ জন এখনো জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। সিরিয়ায় হামলা দেশের ভিতরে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন হলেও নেতানিয়াহু নিজের রাস্তা থেকে সরেননি।
সিরিয়ার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুধুমাত্র একটি অঞ্চলেই অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে সব জায়গার খবর এখনো পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। মূলত গোলান অঞ্চলে আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই অঞ্চলটি বাফার জোন হিসেবে দেখা হয়। এই গোলান অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়া, লেবানন এবং ইসরায়েলের মধ্যে বিতর্ক আছে।
আরটিভি/এএইচ