• ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১
logo
ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ
৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম দিনে হামাস ৩ জিম্মিকে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করার পরই ইসরায়েলের কারাগার থেকে অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমের ৬৯ নারী এবং ২১ কিশোর রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ ফিলিস্তিনেক সম্প্রতি আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাজা ঘোষণা করা হয়নি। এর মাধ্যমে রোববার (১৯ জানুয়ারি) দীর্ঘ ১৫ মাস রক্তক্ষয়ের পর গাজায় কার্যকর হয় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি। এ ছাড়া, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথমদিনে তিন ইসরায়েলি জিম্মি রোমি গনেন, ডোরন স্টেইন ব্রেচার এবং এমিলি দামারিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর তাদেরকে রেড ক্রসিংয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে, তাদেরকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় তেল আবিব। চুক্তির আওতায় একজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে নেতানিয়াহু প্রশাসন। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য খান ইউনিস হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, ফ্রান্সভিত্তিক পৃথিবীর প্রাচীনতম সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা ১৫ মাসের বোমা হামলা বন্ধ হওয়ার পর গাজার বাসিন্দারা নিজেদের বাড়িঘরের দিকে ফিরতে শুরু করেছে। এখন তারা প্রয়োজনীয় খাদ্যের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে এখন থেকে প্রতিদিন গাজায় ত্রাণবাহী অন্তত ৬০০ ট্রাক প্রবেশ করবে। যা এরই মধ্যে এসে পৌঁছেছে।   এ ছাড়া আলজাজিরার অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। সে হামলার অবসান হলো ২০ জানুয়ারি থেকে। তবে এরই মধ্যে প্রাণ চলে গেছে ৪৬ হাজার ৯১৩ ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৭৫০ জন। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক প্রায় ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে। একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।  দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সঙ্গে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। আরটিভি/কেএইচ/এস
যুদ্ধবিরতি: গাজায় ঢুকতে শুরু করেছে ত্রাণবাহী ট্রাক
ইসরায়েলি তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস
যুদ্ধবিরতির বিরোধিতায় ইসরায়েলের ৩ মন্ত্রীর পদত্যাগ
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর
গাজায় ফের হামলা শুরু ইসরায়েলের
হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, এই অভিযোগ করে গাজায় ফের হামলা শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।  ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রবিবার সকাল পর্যন্ত হামাস তার শর্ত পূরণ করতে পারেনি। চুক্তি অনুযায়ী হামাস ইসরায়েলকে জিম্মিদের তালিকা দেয়নি। ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে- যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস তার দায়িত্ব পালন না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। যতক্ষণ না হামাস চুক্তির প্রতি তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করছে, ততক্ষণ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়ে যাবে স্থানীয় সময় রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্য কর হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি জিম্মিদের তালিকা দেওয়ার কথা ছিল হামাসের। কিন্তু হামাস বলছে, ‘প্রযুক্তিগত কারণে’ তালিকা পাঠাতে বিলম্ব হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি পিছিয়ে গেল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের অনুমোদন দিয়েও সময়মতো (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা) তা কার্যকর করলেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নাম প্রকাশ করতে হবে হামাসকে, অন্যথায় কার্যকর হবে না যুদ্ধবিরতি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, মন্ত্রীসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন দিলেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) অভিযান থামানোর নির্দেশ দেননি নেতানিয়াহু। তিনি বলছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নাম হামাস ঘোষণা না করা পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে না। এদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কারিগরি সমস্যার কারণে মুক্তি পেতে যাওয়া তিন জিম্মির নাম প্রকাশে দেরি হচ্ছে। বিবিসি বলছে, যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হলো মুক্তি দেওয়ার অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে জিম্মিদের নাম ইসরায়েলের কাছে পাঠাতে হবে। তবে, আধ ঘণ্টা আগেও এই তালিকা ইসরায়েলের হাতে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এমনকি কোথায় বন্দি বিনিময় হবে, সেটাও গতকাল রাত পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ কার্যক্রমের জন্য সীমান্তের কাছে তিনটি সম্ভাব্য অবস্থান প্রস্তুত রেখেছে। এগুলো হলো গাজার কেন্দ্র, উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। এছাড়া, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক টেলিভিশন বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, এই ‘যুদ্ধবিরতি সাময়িক’ এবং ‘অভিযান এখনো শেষ হয়নি’। যুদ্ধবিরতির কোনো শর্তের লঙ্ঘন হলে আবার গাজায় হামলা চালানোর অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, উভয়ে সমর্থন করবেন। আমরা যদি আবার হামলা শুরু করি, তা হবে আরও জোরালো। প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ৪২ দিনের বিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। তবে নেতানিয়াহুর এসব বক্তব্যে আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই উদ্যোগ। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু, ফের হামলার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর  
দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যুপুরীতে পরিণত গাজায় অবশেষে কার্যকর হচ্ছে যুদ্ধবিরতি। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায়  ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূ-খণ্ডটিতে যুদ্ধবিরতি টানতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। বহু প্রতীক্ষার পর উৎকণ্ঠাহীন ঘুমের স্বপ্ন দেখছে নিরীহ গাজাবাসী। তবে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগেই ভয়াবহ এক হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলে রেখেছেন, গাজার এই ‘যুদ্ধবিরতি সাময়িক’ এবং ‘অভিযান এখনো শেষ হয়নি’। এমনকি আগামীকাল মার্কিন মসনদে বসতে যাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাকে এ ব্যাপারে সমর্থন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।  খবর বিবিসির।   ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে গাজায় কার্যকর হতে যাচ্ছে যুদ্ধবিরতি। মূলত ফিলিস্তিনি বন্দি ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির শর্তে এ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এ চুক্তির মাধ্যমে গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরা চলা ইসরায়েলি গণহত্যা অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য থামতে পারে।  পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। এর অধীনে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। সেখানে বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তৃতীয় ধাপে নিহত জিম্মিদের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে ফেরত দেওয়া এবং গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এই কাজ মিসর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এদিকে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন পেলেও ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এ বৈঠকে চুক্তির ঘোর বিরোধিতা করেছেন ৮ জন কট্টরপন্থী মন্ত্রী। বিরোধিতাকারীদের মধ্যে আছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতমার বেন গভির ও অর্থ মন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচও। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরে অনুমোদন দিলেও গাজায় ভবিষ্যতে আরও ভয়ানক ধ্বংসযজ্ঞ শুরুর ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।     শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক টেলিভিশন বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, এই ‘যুদ্ধবিরতি সাময়িক’ এবং ‘অভিযান এখনো শেষ হয়নি’। আবার গাজায় হামলা চালানোর অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, উভয়ে সমর্থন করবেন। আমরা যদি আবার হামলা শুরু করি, তা হবে আরও জোরালো। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিয়েছি। হামাস বর্তমানে ‘সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ’। এই বক্তৃতার আগে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, জিম্মিদের মধ্যে কাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, হামাসের সেই তালিকা আমাদের হাতে না আসা পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি করবে না। চুক্তির লঙ্ঘন সহ্য করবে না ইসরায়েল। ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে যে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত তালিকার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষগুলো বলছে, রোববার যে তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের নাম এখনো পাননি তারা। যুদ্ধবিরতির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ১ হাজার ৮৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল।   যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দেওয়া হবে। অবশ্য, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, এই ধাপে অন্য সব জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিনিময়ে আরও ফিলিস্তিনিকে কারাগার ও বন্দিশালা থেকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল। উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পরও গাজায় এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি ইসরায়েলি আগ্রাসন। দখলদার বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৭ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলা-অভিযানে আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গত ১৫ মাসে নিজেদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে জীবন যাপন করতে হচ্ছে ভূ-খণ্ডটির প্রত্যেক বাসিন্দাকে।  আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ইরানের সুপ্রিম কোর্টে দুই বিচারপতিকে গুলি করে হত্যা
ইরানের রাজধানী তেহরানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দুইজন সিনিয়র বিচারপতিকে। গুলি চালানোর পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন ওই বন্দুকধারী।  শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে ইরানের সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে ঘটে এ ঘটনা। দেশটির বিচার বিভাগের মিডিয়া সেন্টারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা র‍য়টার্স।  ইরানের বিচার বিভাগ এবং রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার দেওয়া তথ্য অনুসারে, নিহত দুই বিচারপতি হলেন হোজ্জাত আল-ইসলাম রাজিনি এবং হোজ্জাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমীন মোকিসেহ। বিচার বিভাগের মিডিয়া সেন্টারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত দুই বিচারপতি জাতীয় নিরাপত্তা, গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অপরাধ মোকাবিলায় সক্রিয় ছিলেন। নিহত বিচারকরা ছিলেন সাহসী এবং অভিজ্ঞ। তবে, হামলাকারীর পরিচয় এবং তার উদ্দেশ্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আরটিভি/এসএইচএম
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন দিল ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভোটাভুটির পর চুক্তি অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমস্ত রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও মানবিক দিক পর্যবেক্ষণের পর এবং প্রস্তাবিত চুক্তি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনকে সমর্থন করে’ এটা বোঝার পর চুক্তিটি গ্রহণ করেছে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মন্ত্রিসভা সরকারকে প্রস্তাবিত রূপরেখা অনুমোদন করার সুপারিশও করেছে। চুক্তিটি এখন আলোচনা ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভায় যাবে। খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হওয়ার পর মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। কাতারি ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।  এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের মধ্যে ৩১ নারী ও ২৭ শিশু রয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম  
গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ৮১
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।  বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হাজার ৭৮৮ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ১০ হাজার ৪৫৩ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৮১ জন নিহত এবং আরও ১৮৮ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত  গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। আরটিভি/একে/এস
যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েলি হামলা, ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত
যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৩০ জন। হতাহতদের মধ্যে ২০ শিশু ও ২৫ নারী রয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর আগে বুধবার রাতে ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি হয়। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে। তবে এরই মধ্যে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, চুক্তির খবরে অনেক ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের পরিবার উদযাপন করলেও গাজায় হামলা অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার ড্রোন ও যুদ্ধবিমান দিয়ে ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালায়। হামলা হয়েছে নুসেইরাত ও বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে, জাবালিয়া ও উত্তর গাজায়। চুক্তির বিষয় ঘোষণার পরপরই ইসরায়েল উত্তর গাজার শেখ রিদওয়ান আবাসিক এলাকায় হামলায় চালিয়ে ২০ জনকে হত্যা করে।  এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। পরে গাজায় হামলা শুরু হয়। এ পর্যন্ত তারা ৪৬ হাজার ৭৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৪৫৩ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে উপত্যকাটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে খাবার, জ্বালানি, ওষুধের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। গাজার বাসিন্দারা তীব্র শীতের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চলতি শীত মৌসুমে সেখানে ঠান্ডায় মৃত্যু হয়েছে অনেক শিশুর। প্রসঙ্গত, চুক্তির বিস্তারিত আসতে শুরু করেছে। তিন ধাপে এ চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহ ধরে চলবে যুদ্ধবিরতি। এ সময় হামাস তাদের হাতে থাকা ৩৩ জিম্মিকে মুক্ত করবে। ইসরায়েল তাদের কারাগারে আটকে রাখা নারী-শিশুসহ কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েলের একজন জিম্মির বিনিময়ে মুক্ত হবেন ৫০ ফিলিস্তিনি। যাদের মুক্ত করা হবে, তাদের মধ্যে ৩০ জন দোষী সাব্যস্ত হয়ে ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। প্রথম ধাপে গাজায় ত্রাণ ও জ্বালানিবাহী গাড়ি প্রবেশ করবে। দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। মুক্তি পাবেন হামাসের হাতে আটক থাকা ইসরায়েলের সেনাসদস্যরাও। এ ধাপে গাজা উপত্যকা থেকে সব সেনা সরিয়ে নেবে ইসরায়েল। পাশাপাশি স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে দু’পক্ষ আলোচনায় বসবে।  তৃতীয় ধাপ নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। এ ধাপে বন্দি অবস্থায় মৃতদের দেহ হস্তান্তরের বিষয় থাকতে পারে। এ ছাড়া গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কারা করবে এবং পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজা কাদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতে শাসনভার দিতে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরায়েল একেবারে হামলা চালাবে না– এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না। কারণ, লেবাননে যুদ্ধবিরতি ভেঙে তারা হামলা চালিয়েছে।  আরটিভি/কেএইচ