• ঢাকা রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করবে লেবানন সেনাবাহিনী-হিজবুল্লাহ
গাজার দুই শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ১০০
মৃত্যুর মিছিল থামছেই না গাজায়। লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি টানলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে যেন আগ্রাসনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সবশেষ বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলীয় দুই শহর বেইত লাহিয়া এবং জাবালিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার রাষ্ট্রটি। এই সময়ে এ দুই শহরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।  গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসালের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ৭৫ জন বেইত লাহিয়া শহরের এবং বাকি ২৫ জন জাবালিয়া ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ আগস্ট ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার নাম করে ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে শত চাপ সৃষ্টির পরও সে আগ্রাসন এখনও থামেনি। মাঝে কিছুদিন আভিযান ও হামলার মাত্রা কিছুটা স্তিমিত হলেও সবশেষ  গত ৫ অক্টোবর থেকে উত্তর গাজায় অভিযানে বিশেষভাবে জোর দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারপর থেকে এ পর্যন্ত উত্তর গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের স্থলবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ১০ হাজার। গাজার মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বসবাস করে উত্তরাঞ্চলে। ৫ অক্টোবর বিশেষ অভিযান শুরুর পর থেকে অঞ্চলটিতে খাবার, ওষুধ, জ্বালানি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে ইতোমধ্যেই মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে উত্তর গাজায়। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা পানি ও খাবারের সন্ধানে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। তিনি বলেন, গত প্রায় দুই মাস ধরে উত্তর গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ইতোমধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থতি দেখা দিয়েছে। গণহত্যা, খাদ্যাভাব এবং লাগাতার হামলায় ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করছেন উত্তর গাজার বাসিন্দারা। এ হামলার ব্যাপারে এক বিবৃতি দিয়ে আইডিএফ জানিয়েছে, উত্তর গাজায় হামাস সংগঠিত হচ্ছে— এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সবশেষ বিমান হামলাটি চালিয়েছে তারা। এদিকে ২০২৩ সালে ৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৪ হাজার ৪০০ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও এক লক্ষাধিক। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত গাজায় তার বাহিনীর অভিযান চলবে। আরটিভি/এসএইচএম-টি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৩৩ প্রাণহানি
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতিতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলি নির্মম হামলায় গাজায় একদিনে ২৪ প্রাণহানি
ইসরায়েলি নেতাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার
ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, বরং মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে সোমবার (২৫ নভেম্বর) এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর রয়টার্সের। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং হামাস নেতা ইব্রাহিম আল-মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর খামেনি এই মন্তব্য করলেন। ইসরায়েলি নেতাদের নাম উল্লেখ করে খামেনি বলেন, তারা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এটা যথেষ্ট নয়, এই অপরাধী নেতাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সময় আইসিসির বিচারকরা বলেন, গাজার বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ব্যাপক ও নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণের অংশ হিসেবে হত্যাকাণ্ড, নিপীড়ন ও ক্ষুধার মতো বিষয়কে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অপরাধের সঙ্গে নেতানিয়াহু ও ইয়োয়াভ গ্যালান্ট জড়িত বলে যুক্তিযুক্ত কারণ রয়েছে। তবে আইসিসির এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একে লজ্জাজনক ও হাস্যকর বলেও অভিহিত করেছে তেল আবিব। কিন্তু গাজার বাসিন্দারা আশাবাদ প্রকাশ করেছেন যে বিশ্ব আদালতের এই সিদ্ধান্ত সহিংসতার অবসান এবং যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে সহায়তা করবে। অন্যদিকে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইব্রাহিম আল-মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি মোহাম্মদ দেইফ নামেও পরিচিত। ইসরায়েলেল দাবি, গত জুলাইয়ে একটি বিমান হামলায় তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এ বিষয়টি হামাস এখনো নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। সূত্র: রয়টার্স আরটিভি/একে-টি
আমিরাতে নিখোঁজ এক ইসরায়েলি নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত জভি কোগান নামে এক ইসরায়েলি নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ। গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।  রোববার (২৪ নভেম্বর) জভি কোগানের মরদেহ উদ্ধারের পর এই ঘটনাকে ‘ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসী কাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ । ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোগানের মরদেহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ শনাক্ত করেছে। ইসরায়েল এই জঘন্য ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসী কাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে সব উপায়ে চেষ্টা করবে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসের কাপুরুষ ও ঘৃণ্য কাজ’ বলে নিন্দা করেছেন। এর আগে, শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জভি কোগান নামে ওই নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, নিখোঁজ জভি কোগান ইসরায়েল-মলদোভার নাগরিক। একইসঙ্গে তিনি ইহুদিদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সংগঠন চাবাদ এর সদস্য। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জভি কোগান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে এটা একটি সন্ত্রাসী কাণ্ড। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ ঘটনায় একটি বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। জভি কোগানের নিরাপত্তা এবং তার ভালো থাকা নিয়ে উদ্বেগ থেকে তাকে খুঁজে পেতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা থেকে এর আগে দেশটির নাগরিকদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আরটিভি/এসএইচএম-টি
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিলো ইউরোপের ৭ দেশ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই বেশ বিপাকে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইসিসির এ রায়ের তীব্র নিন্দা জানালেও নেতানিয়াহুর ওপর থেকে তাদের হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন অন্য পশ্চিমা মিত্ররা। মাত্রই দিন তিনেক আগে জারি করা আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমলে নিয়ে এরই মধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, সুইডেন, বেলজিয়াম ও নরওয়ের সরকার।  স্পষ্টভাবে প্রতিশ্রুতি না দিলেও ইউরোপের এ সাতটি দেশের বাইরে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলের আরেক ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্যও।  এর আগে, নেদারল্যান্ডসের হেগে চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ, হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। করিম খানের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। হানিয়া ও সিনওয়ার এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ায় তালিকা থেকে তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রসেত্তো এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি মনে করি, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্তের সঙ্গে হামাসের সামরিক শাখার প্রধানকে এক কাতারে বিচার করা আইসিসির একটি ভুল। তবে এই পরোয়ানা প্রত্যাহার কিংবা অকার্যকর হওয়ার আগে নেতানিয়াহু কিংবা গ্যালান্ত যদি ইতালি সফরে আসেন, তাহলে বাধ্য হয়েই তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে আমাদের। তিনি বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। ইতালি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। তাই আইসিসির যেকোনো পদক্ষেপ, যে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে বাধ্য। নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্প শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, সরকার আইসিসির নির্দেশ মেনে চলা ও যাদের ওপর পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নয়- এমন যাবতীয় যোগাযোগ বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্তোফি লেমোনি আইসিসির এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘জটিল আইনি ইস্যু’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে, নেতানিয়াহু ফ্রান্স সফরে এলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। অস্ট্রিয়াও আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে। তবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সজান্ডার শ্যালেনবার্গ বলেন, পরোয়ানাটি তার কাছে পুরোপুরি বোধগম্য নয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টেরমারের মুখপাত্র এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার জন্য যুক্তরাজ্যের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা সবসময় মেনে চলা হবে। নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত অকপটে জানিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস। তিনি বলেছেন, নেতানিয়াহু যদি আয়ারল্যান্ডে পা দেন, তাহলে তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতকে সমর্থন করি এবং তাদের পরোয়ানা প্রয়োগ করি। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইসিসির এ রায়কে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। এর প্রতিক্রিয়ায় আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখায়েল মার্টিন বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করছি। কারণ, গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এটি গাজাবাসীর ওপর সমষ্টিগত শাস্তি, এটি গণহত্যা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নেতানিয়াহুর পক্ষে নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করেছে হাঙ্গেরি। আইসিসির এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, আমি শিগগিরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে হাঙ্গেরি সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো। আরটিভি/এসএইচএম-টি
যুক্তরাজ্যে পা দিলে গ্রেপ্তার হতে পারেন নেতানিয়াহু
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। সেই রেশ ধরে এবার নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিয়ে দিলো ইসরায়েলের মিত্র বলে পরিচিত যুক্তরাজ্য।  প্রসঙ্গত, আইসিসির মোট ১২৪ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে যুক্তরাজ্যও একটি।  শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টেরমারের মুখপাত্র বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার জন্য যুক্তরাজ্যের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা সবসময় মেনে চলা হবে।   এরপর নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, সরাসরি এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, আমি নির্দিষ্ট কোনো মামলা নিয়ে কথা বলব না। এর আগে অপর এক ব্রিটিশ মুখপাত্র আরও কঠোরভাবে এ প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি। যেটি পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে তদন্ত ও বিচার করার প্রাথমিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এদিকে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত অকপটে জানান আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু যদি আয়ারল্যান্ডে পা দেন, তাহলে তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতকে সমর্থন করি এবং তাদের পরোয়ানা প্রয়োগ করি। অবশ্য, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইসিসির এ রায়কে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। এর প্রতিক্রিয়ায় আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখায়েল মার্টিন বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করছি। কারণ, গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এটি গাজাবাসীর ওপর সমষ্টিগত শাস্তি, এটি গণহত্যা। আরটিভি/এসএইচএম/এস
ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।  তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়। এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন। অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে। বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’। পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়। আরটিভি/কেএইচ
জমজমের পানি পানে নতুন নির্দেশনা
সৌদি আরবে হজ ও ওমরাহ করতে যাওয়া মানুষদের জন্য নির্ধারিত পাত্র থেকে জমজমের পানি পানের সময় কী কী করতে হবে সে ব্যাপারে দেশটির সরকার কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। সৌদি আরবের দুই পবিত্রতম স্থান মক্কা ও মদিনায় এ নির্দেশনাগুলো প্রযোজ্য হবে। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজের মধ্যে শান্ত বোধ রাখতে হবে এবং এই পানি পানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, কাবা ও মসজিদে নববীতে যখন কেউ জমজমের পানি পান করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহর নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন। তারা আরও বলেছে, এই পানি পানের সময় জায়গা পরিষ্কার রাখার স্বার্থে মেঝেতে পানি ফেলা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অযু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে। নির্ধারিত জায়গায় পানি পানের পর কাপগুলো যথাস্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভীড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এদিকে ওমরাহ পালন করতে প্রতিদিনই মক্কায় ভিড় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। ওমরাহ শেষে বেশিরভাগই মদিনার মসজিদে নববীতে যান। সূত্র: গালফ নিউজ আরটিভি/একে
সৌদিতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় প্রতীকের ব্যবহার নিষিদ্ধ
বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জাতীয়, ধর্মীয় ও গোষ্ঠী প্রতীকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব সরকার। ৯০ দিনের মধ্যে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য।  এমন নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ আল-কাসাবি জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রতীক ও লোগোতে ধর্মীয় ও গোষ্ঠী প্রতীকের অপব্যবহার বা ভুল ব্যবহার বন্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৌদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এসব প্রতীক ও লোগো ব্যবহার করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী নিজ নিজ প্রতীক ও লোগো পরিবর্তনের জন্য সরকারি গেজেট প্রকাশের দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সময় পাবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মুদ্রিত কোনো বস্তু, পণ্য, মিডিয়া-বুলেটিন বা বিশেষ উপহারের ক্ষেত্রেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম-টি